Sadhguru

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন সদগুরু! তাঁর আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ শীর্ষ আদালতে

সদগুরুর আশ্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর দুই কন্যাকে ‘ওই আশ্রমে থেকে যাওয়ার জন্য মগজধোলাই’ করা হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৫৬
Supreme Court dismisses case against Sadhguru\\\\\\\\\\\\\\\'s Isha foundation in Madras High Court

জগ্গি বাসুদেব (সদগুরু)। —ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন জগ্গি বাসুদেব (সদগুরু)। তাঁর আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে মামলার নিষ্পত্তি করল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সব অভিযোগ খারিজ করল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সদগুরুর আশ্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। অভিযোগকারীর দাবি, তাঁর দুই কন্যাকে ‘ওই আশ্রমে থেকে যাওয়ার জন্য মগজধোলাই’ করা হয়েছিল। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও দুই কন্যাকে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে আগে মামলা চলছিল মাদ্রাজ হাই কোর্টে। কোয়েমবত্তূরে অবস্থিত সদগুরুর ওই আশ্রমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সদগুরুর প্রতিষ্ঠান। তাদের বক্তব্য ছিল, হাই কোর্টের নির্দেশের পর আশ্রমে প্রায় কয়েকশো পুলিশকর্মী প্রবেশ করেছিলেন। এতে আশ্রমের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি, মানুষের বিশ্বাসেও আঘাত করা হচ্ছে বলে দাবি করে সদগুরুর প্রতিষ্ঠান।

প্রসঙ্গত, দু’জনের ‘মগজধোলাই’ করে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করেছে সদগুরুর প্রতিষ্ঠান। তাঁরা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। বর্তমানে এক জনের বয়স ৩৯ এবং অন্য জনের ৪২ বছর। প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাঁরা উভয়েই স্বেচ্ছায় সেখানে রয়েছেন। হাই কোর্টে দু’জনকে পেশ করা হয়েছিল। সেখানে ওই দুই মহিলা একই কথা জানিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীনও ভার্চুয়ালি ওই দুই মহিলাকে পেশ করা হয়। সেখানেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, সদগুরুর আশ্রমে স্বেচ্ছায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement