Hijab

হিজাব পরে সরকারি স্কুলগুলিতে পরীক্ষায় বসা যাবে না, হুঁশিয়ারি কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রীর

হিজাব পরে ঢোকার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কয়েক জন ছাত্রী। তবে সেই মামলার শুনানি আদৌ ৯ মার্চের পরীক্ষার আগে শুরু হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৬
Picture of Karnataka Education Minister BC Nagesh and students

কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ জানিয়েছেন, হিজাব পরে এলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রতীকী ছবি।

সরকারি স্কুলের পরীক্ষায় বসতে হলে হিজাব পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ। তাঁর দাবি, যারা হিজাব পরে আসবে, তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

৯ মার্চ থেকে কর্নাটকের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্স (পিইউসি)-এর দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে। তাতে হিজাব পরে ঢোকার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কয়েক জন ছাত্রী। তবে সেই মামলার শুনানি আদৌ ৯ মার্চের আগে শুরু হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। এই আবহে ছাত্রীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, সরকারি স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হলে ছাত্রীদের গত বছরের মতোই স্কুলের ইউনিফর্ম পরতে হবে। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের স্কুলের ইউনিফর্ম পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকা উচিত। ঠিক গত বছরের মতোই। যে সমস্ত ছাত্রী হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে যাবে, তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিয়ম মান্য করতেই হবে। নিয়ম মেনেই কাজ করছে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার।’’

Advertisement

গত বছর থেকেই সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে কর্নাটক সরকার। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, হিজাব নিষিদ্ধ করা হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। যদিও সে সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান জানাননি তিনি। নাগেশের কথায়, ‘‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর আরও কিছু মুসলিম বোন পরীক্ষায় বসেছে। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হিজাব নিয়ে সমস্যা শুরু হওয়ার পর থেকে পরীক্ষার জন্য তাদের নাম নথিভুক্তির সংখ্যা বেড়েছে।’’

কর্নাটক সরকারের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে জনাকয়েক ছাত্রী। হিজাব পরে পরীক্ষার হলে ঢোকার অনুমতি নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে তারা। তবে হোলি উপলক্ষে ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত শীর্ষ আদালত বন্ধ থাকবে। তার আগে শুক্রবার ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এই আবেদনের শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement