ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। ছবি: পিটিআই।
ভারী বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জেলা। কেদারনাথ যাওয়ার পথে ভীমবলীতে বুধবার মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসের কারণে আটকে পড়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। আটকে থাকা সাতশোরও বেশি পুণ্যার্থীকে বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করে সোনপ্রয়াগে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও যে সব পুণ্যার্থী আটকে রয়েছেন, তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার থেকে মোট পাঁচ হাজার পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৩০০ জন আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশ জানিয়েছে, পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে সোনপ্রয়াগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), জেলা পুলিশ এবং প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজি অভিনব কুমার জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টির মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, তাঁরা যেন এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কোনও রকম ঝুঁকি না নেন।
বুধবার থেকে হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুদ্রপ্রয়াগ। বহু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। কোথাও ধস নেমেছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই শনিবার পর্যন্ত কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজি। কেদারের পথে ধসপ্রবণ এলাকাগুলিতে পুণ্যার্থীরা কোথাও আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এনডিআরএফের ১২টি এবং এসডিআরএফের ৬০টি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ডিজি জানিয়েছেন, টিহরী এবং রুদ্রপ্রয়াগে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্য আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্ক করা হয়েছে আরও ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে এই দুই জেলায়। আবহাওয়া দফতরের সেই সতর্কবার্তা পেয়েই পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই দুর্যোগের জেরে বৃষ্টি এবং ধসে রাজ্য জুড়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। আট জন গুরুতর জখম। কেদারনাথে আটকে থাকা ৫০০০ পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেদারনাথ এবং যমুনোত্রীর ট্রেকিং করার পথও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।