প্রতীকী ছবি।
১৪ বছরের নাবালিকা কন্যাকে স্থানীয় স্পা-তে চাকরি দেওয়ার নাম করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল হরিয়ানার গুরুগ্রামে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চার জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ওই স্পা-এর মালিকও।
নাবালিকার অভিযোগ, কিছু দিন আগে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন তাকে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজের সন্ধান দেন। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারও ১৫ দিন পরে তাকে একটি স্পা-তে কাজে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নাবালিকার অভিযোগ, স্পা-এর ভিতরে থাকা একটি ঘরে প্রতিদিন তাকে গণধর্ষণ করা হত। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ জন তাকে ধর্ষণ করত। প্রতিবাদ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছে সে। তার দাবি, ১৫ দিন এ ভাবে চলার পর সে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়। তার উপর যৌন নিপীড়নের একটি ভিডিয়ো সে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
নাবালিকার আরও অভিযোগ, প্রথম বারও সে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের এক জন তাকে ‘চাপ দিয়ে’ বয়ান বদল করায়। পুলিশের কাছে তখন ওই নাবালিকা দাবি করে ‘ধর্ষকের’ সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক আছে এবং সে তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নাবালিকার অভিযোগ সেই প্রতিশ্রুতি রাখা তো হয়ইনি, উল্টে অত্যাচারের মাত্রা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণী নিজেকে নাবালিকা বলে দাবি করলেও বয়সের উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখাতে পারেন। প্রাথমিক ভাবে তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩২৩ (গণধর্ষণ)-সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছে। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।