একত্রবাসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধির প্রয়োজন রয়েছে, পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষা করার জন্য একত্রবাসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধি থাকা উচিত। এ কথা জানিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, একত্রবাসকে এখনও পর্যন্ত সমাজ সেই অর্থে কোনও অনুমোদন দেয় না। তবে তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। তাই সমাজের নৈতিক মূল্যবোধকে বাঁচানোর জন্য একত্রবাসে কিছু নিয়মবিধি থাকা প্রয়োজন।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি নলিনকুমার শ্রীবাস্তব। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, একত্রবাসের ক্ষেত্রে কোনও পুরুষ বা মহিলা সহজেই তাঁর সঙ্গীর প্রতি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন। ফলে এই ধরনের সম্পর্কের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণে কিছু নিয়মের কাঠামো এবং সমাধানসূত্র খুঁজে বার করার সময় এসেছে বলে মনে করছে আদালত।
অভিযোগকারী তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন অভিযুক্ত। এমনকি গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। বারাণসীর সারনাথ থানায় তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে মামলাটি হাই কোর্টে গেলে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান, তরুণী মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। তাঁর মক্কেলের সঙ্গে প্রায় বছর ছয়েক ধরে একত্রবাস করছেন তরুণী। অভিযোগকারী একজন প্রাপ্তবয়স্কা এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতেই দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী যে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ তুলছেন, সে দাবিও মিথ্যা বলে আদালতে জানান অভিযুক্তের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, এমন ঘটনা কোনও দিন ঘটেইনি।
মামলায় অভিযুক্তকে জামিন দিলেও একত্রবাসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মবিধির প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেছে হাই কোর্ট। আদালত আরও জানিয়েছে, বর্তমানে একটি পরিবর্তনশীল সমাজে মানুষ বাস করছে। এই পরিবর্তনশীল সমাজে পরিবার, সমাজ কিংবা কর্মক্ষেত্রে নৈতিক মূল্যবোধ এবং তরুণ প্রজন্মের স্বাভাবিক আচরণে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।