One Nation One Election

২০২৯ থেকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হবে একসঙ্গেই? সমাধানসূত্র খুঁজছে আইন কমিশন

২০২৪-২০২৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচন এক সঙ্গে হতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে আইন কমিশন। সূত্রের খবর, সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০২

—প্রতীকী ছবি।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির লক্ষ্য রূপায়ণে জোরকদমে ‘ফর্মুলা’ খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে আইন কমিশন। সূত্রের খবর, কমিশন চাইছে যাতে ২০২৯ সাল থেকেই লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একযোগে করানো যায়। সে ক্ষেত্রে বিধানসভাগুলির মেয়াদ কমানো বা বাড়ানো হতে পারে।

Advertisement

২০২৪-২০২৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচন এক সঙ্গে হতে পারে কি না তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে আইন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল তারা। যে হেতু ‘এক দেশ এক ভোট’ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে কিছু সাংবিধানিক সংশোধন প্রয়োজন রয়েছে, তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে কমিশনের আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলেই মনে করছেন কর্তারা। কমিশন সূত্রের খবর, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সঙ্গে স্থানীয় স্তরের নির্বাচনও একসঙ্গে করা যায় কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে আইন কমিশনকেও বলা হতে পারে বলে কর্তারা মনে করছেন।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বহু দিন ধরেই চাইছে, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হোক। প্রধানমন্ত্রী মোদী একাধিক বার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র। সরকারের যুক্তি, বিভিন্ন সময়ে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে সরকারি কোষাগারের উপর বিরাট চাপ পড়ে। সরকারি কর্মচারীদের অনেক সময়-ব্যয় হয়। সব নির্বাচন এক সঙ্গে হলে জনগণের অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। স্বাধীনতার পরবর্তী বছরগুলিতে লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু প্রায় ২০ বছর পরে কিছু বিধানসভা এবং তার পরে লোকসভা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ করতে পারেনি, যার কারণে চক্রটি ভেঙে যেতে থাকে। সেই ব্যবস্থাই আবার ফিরিয়ে আনতে চাইছে কেন্দ্র।

আইন কমিশন সূত্রে খবর, ২০২৯ সালে একসঙ্গে ভোট করাতে বিধানসভাগুলির মেয়াদ কমানো বা বাড়ানোর সুপারিশ করা হতে পারে। যদিও তা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে কর্তাদের একাংশ সন্দিহান। কারণ, অনেক বিধানসভার মেয়াদ কমানো এবং অনেকগুলির মেয়াদ বাড়ানো সহজ হবে না। যে সব বিধানসভার নির্বাচন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে, বা যেগুলির মেয়াদ তিন বছরের বেশি বাকি রয়েছে, সে সব রাজ্যের কাছে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হবে না। তা নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে। শুধু তা-ই নয়, একযোগে নির্বাচনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেও প্রশ্ন থেকে যাবে লোকসভা বা কোনও বিধানসভা যদি তার মেয়াদ পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়, সরকার মাঝপথে পড়ে যায়, তা হলে কী হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement