Shraddha Walkar Murder Case

ঠোঁট ফাটা, কালশিটের দাগ মুখে! আফতাবের মারের চিহ্ন দেখে শিউরে ওঠেন শ্রদ্ধার সহকর্মী

শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের মামলায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা মারধর করতেন তাঁর একত্রবাস সঙ্গিনীকে। খুনের দু’বছর আগে তাঁর সহকর্মীকে সে কথা জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫৫
শ্রদ্ধা ওয়ালকর এবং আফতাব পুনাওয়ালা।

ফাইল চিত্র।

খুনের অনেক আগে থেকেই আফতাব আমিন পুনেওয়ালা নিয়মিত মারধর করতেন তাঁর লিভ ইন সঙ্গিনী শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে। শ্রদ্ধার এক প্রাক্তন সহকর্মী এই অভিযোগ করেছেন। করণ নামে ওই যুবকের দাবি, বছর দু’য়েক আগে আফতাবের মারে শয্যাশায়ী শ্রদ্ধা হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর একটি ছবি পাঠিয়েছিলেন। ক্ষতবিক্ষত মুখের সেই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন কিরণ।

২০২০ সালে মুম্বইয়ের ভাসাইয়ে একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন শ্রদ্ধা। সেখানে তাঁর টিম ম্যানেজার ছিলেন করণ। অফিসেই প্রথম শ্রদ্ধার মুখ থেকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছিলেন বলে করণের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘২০২০ সালের নভেম্বরে আমি প্রথম শ্রদ্ধার কাছ থেকে জানতে পেয়েছিলাম, আফতাব তাকে নির্যাতন করে। শ্রদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রায়ই বাড়ি থেকে আমাকে ফোন করত। হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট হত। এ রকমই এক দিন আমি তাকে একটা ছবি পাঠাতে বলেছিলাম। আর তার পাঠানো ছবি আমাকে চমকে দিয়েছিল।’’

Advertisement

করণ জানিয়েছেন, সেই ছবিতে শ্রদ্ধার ঠোঁটের কোণে ক্ষতের দাগ ছিল স্পষ্ট। মুখে ছিল কালশিটে। তাঁর কথায়, ‘‘শ্রদ্ধা আমাকে বলেছিল, তার পেটে ছ্যাঁকার দাগও আছে!’’ প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনা সামনে আসার পরেই শ্রদ্ধার বন্ধু রজত শুক্ল দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, আফতাব ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতন করত শ্রদ্ধাকে। এ বার একই অভিযোগ তুললেন শ্রদ্ধার প্রাক্তন সহকর্মীও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement