Shraddha Walkar Murder Case

খুন করতেন আগেই! তবে ‘আবেগপ্রবণ’ শ্রদ্ধাকে দেখে ১০ দিন নিজেকে সংযমী রেখেছিলেন আফতাব

গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করেন তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। সেই খুনের তদন্তে নেমে এক এক করে রহস্যের জট খুলে যাচ্ছে পুলিশের সামনে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ১১:১৯
৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার আসল ছক কষেছিলেন আফতাব।

৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার আসল ছক কষেছিলেন আফতাব। ফাইল চিত্র ।

গত ১৮ মে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে গলা টিপে খুন করেছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। কিন্তু তার ১০ দিন আগে অর্থাৎ, ৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করার আসল ছক কষেছিলেন তিনি। তবে ওই দিন শ্রদ্ধা ‘আবেগপ্রবণ’ হয়ে পড়ায় প্রেমিকাকে খুন করতে পারেননি আফতাব। পিছিয়ে দেন খুনের পরিকল্পনা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে ওই ঘটনার পর পুলিশি তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে।

পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব পুলিশকে জানিয়েছেন, শ্রদ্ধাকে যে দিন তিনি খুন করেন, তার অন্তত ১০ দিন আগেই তিনি খুনের ছক কষেছিলেন। কিন্তু একটি বিশেষ ‘আবেগতাড়িত মুহূর্তের’ কারণে পিছিয়ে যায় আফতাবের প্রেমিকাকে খুনের পরিকল্পনা।

Advertisement

আফতাবকে প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৮ মে আফতাব এবং শ্রদ্ধার মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হচ্ছিল এবং আফতাব সে দিনই প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ঝগড়া চলতে চলতে শ্রদ্ধা হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং কাঁদতে শুরু করেন। প্রেমিকাকে কাঁদতে দেখে আফতাবও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এবং খুন করতে ইতস্তত বোধ করেন। পিছিয়ে যায় খুনের পরিকল্পনা।

নিয়তির কারণে খুন হওয়া পিছিয়ে গেলেও প্রেমিকের তৈরি মরণফাঁদকে ফাঁকি দিতে পারেননি শ্রদ্ধা। ১০ দিন পরই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে প্রেমিক আফতাবের হাতে খুন হতে হয় শ্রদ্ধাকে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করেন তাঁর প্রেমিক আফতাব। এর পর আমেরিকার এক ওয়েব সিরিজ় থেকে ‘অনুপ্রেরণা’ নিয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেন আফতাব। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কিনে আনেন নতুন ফ্রিজ। এর পর ১৮ দিন ধরে ছত্রপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত আফতাব। সন্দেহ এড়াতে আফতাব রোজ রাত ২টো নাগাদ একটি পলিব্যাগে করে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেন বলেও পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে।

শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করার পর দিল্লি পুলিশ গত শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করে। তখন থেকেই শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত। ছত্রপুর জঙ্গল থেকে মানবদেহের ১৩টি টুকরো ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। তবে সেই দেহের টুকরোগুলি শ্রদ্ধারই কি না, তা জানতে সেগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement