সূত্রের খবর, শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলা দেহের মধ্যে ১০টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: পিটিআই ।
একটি মাত্র ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘শ্রদ্ধার শরীরের অংশগুলি কেটে ফেলার জন্য একটি ছোট করাত ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। তবে সেই করাতটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’’
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, এক জন প্রশিক্ষিত শেফ হওয়ায় আফতাব ছুরি ব্যবহারে পারদর্শী ছিলেন।
শ্রদ্ধার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করতে আফতাবকে নিয়ে সোমবার মেহরৌলি বনাঞ্চলে যায় পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রদ্ধার ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলা দেহের মধ্যে ১০টি টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেই টুকরোগুলি শ্রদ্ধারই কি না, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই দেহ টুকরোগুলির ডিএনএ শ্রদ্ধার বাবার নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শ্রদ্ধাকে খুন করার বিষয়ে আফতাব অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছিলেন। তবে তাঁকে সেই বিষয়ে চেপে ধরার পর জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তিনি কেঁদে ফেলেন।
প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে দিল্লির মেহরৌলিতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রেমিক আফতাব। এর পর ওয়েব সিরিজ ‘ডেক্সটার’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রদ্ধার মৃতদেহগুলি ৩৫ টুকরো করেন অভিযুক্ত আফতাব। ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই দেহর টুকরোগুলি। সন্দেহ এড়াতে আফতাব রোজ রাত ২টো নাগাদ একটি পলিব্যাগে করে দেহের টুকরো নিয়ে বাড়ি থেকে বার হতেন বলে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে।
দিল্লি পুলিশ শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।