প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল নয়। এনসিপি ও শিবসেনা গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে জোট করে নির্বাচনে নামতে চাইছে।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুম্বইয়ে গিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা না হলেও আদিত্য ঠাকরে ও সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তার পরে গোয়ায় তৃণমূল, এনসিপি, শিবসেনা হাত মেলাতে পারে বলে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শিবসেনার সেনা সঞ্জয় রাউত এখন গোয়ায় গিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস ও এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। তাঁর বক্তব্য, মহারাষ্ট্রে যেমন শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের জোট— মহা বিকাশ আঘাড়ী তৈরি হয়েছে, গোয়ায় তেমনই জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
কংগ্রেস যথেষ্ট শক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে না, এই প্রচার করে গোয়ায় নিজেদেরই প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল তৃণমূল। সেই কংগ্রেসের পাশে এখন শিবসেনা, এনসিপি গিয়ে দাঁড়ানোয় তৃণমূল নেতারা বলছেন, এ সবে তাঁদের কিছু যায় আসে না। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে তিনটি দল মিলে সরকার চালায়। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের একাই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই আমাদের অন্য কোনও দলের সঙ্গে চলার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রয়োজনও নেই।’’
গত রাতে রাউত এআইসিসি-তে গোয়ার ভারপ্রাপ্ত নেতা দীনেশ গুন্ডু রাও, রাজ্যের নেতা গিরিশ চোডণকর, দিগম্বর কামাতের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজ্যের শিবসেনা নেতারাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। এর পরে তিনি গোয়ার এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। কংগ্রেস সূত্র বলছে, তৃণমূল শুধু গোয়ায় কংগ্রেসেই ভাঙন ধরিয়েছে এমন নয়। গোয়ার একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রাউত প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে আলোচনা করেই গোয়ায় এসেছেন। যদিও এনসিপি, শিবসেনার সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের বিশেষ লাভ হবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, গোয়ায় শিবসেনার তেমন শক্তি নেই। এনসিপি গত বিধানসভায় আড়াই শতাংশের মতো ভোট পেয়েছিল। এআইসিসি-র নেতা দীনেশ গুণ্ডু রাওয়ের বক্তব্য, আলোচনা হয়েছে। এ বার দেখা যাক, জোটের সম্ভাবনা কী চেহারা নেয়। রাউত জানিয়েছেন, শিবসেনা গোয়ায় কিছু আসনে লড়বে।
গোয়ায় ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, কংগ্রেস, তৃণমূল যা-ই করুর, বিজেপিই ক্ষমতায় ফিরবে।