Shashi Tharoor

রাহুল চান আমি লড়ি, দাবি শশীর

কংগ্রেসের কিছু প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে দরবার করেছিলেন, তারুরকে যাতে নির্বাচনে না লড়তে অনুরোধ করা হয়। রাহুল সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫২
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সনিয়া তথা গোটা গান্ধী পরিবারেরই হাত মাথায় রয়েছে মল্লিকার্জুন খড়্গের। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেসের আসন্ন সভাপতি পদে নির্বাচন জমিয়ে দিচ্ছেন ওই পদে বিরোধী প্রার্থী শশী তারুর। পুরোদমে প্রচার তো তিনি করছেনই, পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে খড়্গেকে আক্রমণ করছেন তাঁর স্বভাবসুলভ শানিত ভাষায়।

এ বার এই লড়াইয়ে তিনি একটি ভিন্ন রাজনৈতিক প্যাঁচ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের কিছু প্রবীণ নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে দরবার করেছিলেন, তারুরকে যাতে নির্বাচনে না লড়তে অনুরোধ করা হয়। রাহুল সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

Advertisement

সম্প্রতি কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণ প্রকাশ্যেই খড়্গের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তারুরের এই উক্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারুরের কথায়, “উনি (রাহুল গান্ধী) চেয়েছেন আমি লড়াই করি। কারণ ওঁর ধারণা তাতে দলেরই লাভ হবে। দলের তাবড় নেতারা স্পষ্টতই আমাকে সমর্থন করছেন না। অনেকেই রাহুলকে বলেছিলেন আমাকে আটকানোর জন্য। কিন্তু সে অনুরোধ উনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

সুধাকরণের মন্তব্য সম্পর্কে তারুরের পাল্টা জবাব, “অন্য ব্যক্তির মনের ভিতরে কী চলছে, তা খুঁড়ে আনা আমার কাজ নয়। একটা কথাই এখানে বলার। মুখে বা গোপনে যে যা-ই বলুন না কেন, ব্যালট কিন্তু গোপন। কেউ জানতে পারবেন না, কে কাকে ভোট দিলেন। সবাই তাঁর ইচ্ছা এবং বিশ্বাসমাফিক ভোট দিতে পারবেন। দলকে শক্তিশালী করতে এবং আসন্ন চ্যালেঞ্জ-এর মোকাবিলা করতে কাকে ভোট দেবেন সে ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক, সচিব, যুগ্ম সম্পাদক, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, কংগ্রেসের পরিষদীয় দল-সহ কংগ্রেসের সর্বস্তরে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নির্দেশ গিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কারও হয়ে অথবা কারও বিরুদ্ধে কোনও প্রচারে তাঁরা অংশ নিতে পারবেন না। তারুরের বক্তব্য, কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের মন্তব্য নিয়ে তিনি ভাবিত নন। কারণ তাঁদের বিবৃতি এসেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্দেশিকা জারি করার আগে। এখন তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, যেহেতু কোনও দলের সিলমোহর মারা প্রার্থী নেই, সবাই নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন।

তারুরের কথায়, “নাগপুর, ওয়ার্ধা, হায়দরাবাদে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললাম। তাঁরা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন লড়াইয়ের জন্য। আমি তাঁদের কথা দিয়েছি ময়দান ছেড়ে পালাব না। যাঁরা এখনও পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করে এসেছেন তাঁদের আমি ঠকাব না। তাঁদের আত্মবিশ্বাস আমার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে, সামনের দিকে এগোতে শক্তি জোগাচ্ছে।” এ কথাও তারুর মনে করিয়ে দিচ্ছেন, তাঁর সমর্থকদের অধিকাংশই যুব নেতা ও কর্মী।

আরও পড়ুন
Advertisement