সোমবারই সনিয়ার সঙ্গে তাঁর ১০ জনপথ রোডের বাসভবনে দেখা করেন তারুর।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে লড়তে চলেছেন শশী তারুর। সোমবার দলের বর্তমান সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ‘সবুজ সঙ্কেত’ মেলার পর তা কার্যত নিশ্চিত বলেই দাবি হাতশিবির সূত্রে। ঘটনাচক্রে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের পূর্ণ মেয়াদের সভাপতির জন্য সওয়াল করছিলেন তারুর। দলে সংস্কারের দাবিতে যাঁরা সরব হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও এক জন এই সাংসদ।
সোমবারই সনিয়ার সঙ্গে তাঁর ১০ জনপথ রোডের বাসভবনে দেখা করেন তারুর। বৈঠকে দলের নেতা দীপেন্দ্র হুডা, জয়প্রকাশ অগ্রবাল এবং বিজেন্দ্র সিংহও ছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে তারুর সভাপতি নির্বাচনে লড়তে ‘অনুমতি’ দেন সভানেত্রী। অর্থাৎ, যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তা হলে নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে কার্যত আর কোনও বাধা থাকল না তারুরের।
রাহুল গাঁধী আগেই দলের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সভাপতি পদে ফিরবেন না। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকেই গাঁধী পরিবার কংগ্রেস সভাপতি পদের দায়িত্ব দিতে চাইছে। গাঁধী পরিবারের অনুগামীরাও চেয়েছেন, নির্বাচন নয়, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই নতুন সভাপতি ঠিক হোক। তবে গহলৌতের বিরুদ্ধে দলে বিক্ষুব্ধ নেতাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। জল্পনা ছিল, তাঁদেরই কেউ এক জন প্রার্থী হতে পারেন। সেই সময়েই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তারুর এবং মণীশ তিওয়ারির নাম উঠে এসেছিল। এ বার সনিয়াই ‘ছাড়পত্র’ দিলেন তারুরকে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গাঁধী। তার পর থেকে ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সনিয়াই। রাহুলকে ওই পদে ফেরানোর জন্য কংগ্রেসের বিভিন্ন মহল থেকে বারবার দাবি ওঠা সত্ত্বেও তিনি রাজি হননি। এই গোটা সময় জুড়েই দলের পূর্ণ মেয়াদের সভাপতি চেয়ে একাধিক বার সরব হতে দেখা গিয়েছে তারুরকে।