শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার অন্যতম নেপথ্য কারিগর মনে করা হয় তাঁকে। অথচ সেই শরদ পওয়ারই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। মহারাষ্ট্র রাজনীতির সাম্প্রতিক ওঠাপড়ার প্রেক্ষিতে ‘অন্য’ সম্ভাবনাও খুঁজছিলেন কেউ কেউ। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এনসিপির তরফে সোমবার জানিয়ে দেওয়া হল যে, বিরোধী দলগুলির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’। তবে সোমবার বৈঠকের প্রথম দিন নয়, মঙ্গলবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিন বেঙ্গালুরু পৌঁছবেন পওয়ার। সঙ্গে থাকবেন পওয়ার-কন্যা তথা বারামতীর এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও।
সোমবার এনসিপির মুখপাত্র মহেশ ভারত তাপসে একটি টুইট করে জানান, “আগামিকাল (মঙ্গলবার) শরদ পওয়ার এবং সুপ্রিয়া সুলে বিরোধী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রে এনসিপির জোটসঙ্গী শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-র নেতা সঞ্জয় রাউত সোমবার সকালে বলেন, পটনার পর আজকের (সোমবার) দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধব ঠাকরে নিজে বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। পওয়ার সাহেব কাল (বুধবার) বেঙ্গালুরুর বৈঠকে থাকবেন। আমরা সব একসঙ্গেই আছি।”
এর আগে বিরোধীদের এক মঞ্চে নিয়ে আসার ব্যাপারে বহু বার সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পওয়ারকে। গত ২৩ জুন বিহারের পটনায় হওয়া সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির প্রথম বৈঠকেও হাজির ছিলেন অশীতিপর এই রাজনীতিক। তার পর অবশ্য মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে একটি বড় বদল হয়। কাকা পওয়ারের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেই এনসিপির সিংহভাগ বিধায়ককে নিয়ে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারে যোগ দেন ভাইপো অজিত পওয়ার। পওয়ার অবশ্য দলের এই ভাঙনের পরেও জানিয়েছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি লড়াই জারি রাখবেন এবং দলকে নতুন করে সাজাবেন।
এই সবের মধ্যেই রবিবার পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন বিদ্রোহী অজিত, ছগন ভুজবল, প্রফুল পটেল-সহ বেশ কয়েক জন এনসিপি নেতা। অজিত শিবিরের তরফে এই বৈঠক প্রসঙ্গে জানানো হয়, পওয়ারের আশীর্বাদ নিতেই তাঁরা এনসিপি প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। প্রফুল বলেন, “আমরা পওয়ার সাহেবকে অনুরোধ করেছি যে, এনসিপি যেন এক থাকে। এ কথা শুনে তিনি কিছু বলেননি, শুধু শুনেছেন।’’ বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ মোট ২৪টি দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা। বৈঠকে থাকবেন সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরীওয়াল-সহ একাধিক বিরোধী নেতা।