Andhra Pradesh Telengana Flood

অন্ধ্র, তেলঙ্গানার বন্যায় মৃত অন্তত ২৭! বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন, বাতিল বহু ট্রেন, বিপদে যাত্রীরা

বন্যায় অন্ধ্রপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১২ জন। তেলেঙ্গানায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে এই দুই রাজ্যের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫
অন্ধ্রপ্রদেশের দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের দুর্যোগকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার বন্যায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১২ জন। তেলেঙ্গানায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ১৭ হাজারের বেশি মানুষকে এই দুই রাজ্যের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বিঘা বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। বৃষ্টির কারণে বহু ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে তিন জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। বন্যার জলের তোড়ে তাঁরা ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজ চলছে। এ ছাড়া, তেলঙ্গানাতেও এক জন নিখোঁজ। বন্যার কারণে দক্ষিণ-মধ্য রেল ১৪০টি ট্রেন বাতিল করেছে। ৯৭টি ট্রেনের গতিপথ বদল করা হয়েছে। ট্রেন বাতিলের কারণে বহু যাত্রী এবং পর্যটক সমস্যায় পড়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার বিভিন্ন স্টেশনে ছ’হাজারের বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর।

দুই রাজ্যেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। উপকূলের বন্যাকবলিত এলাকা থেকে অন্তত ১৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের আশ্রয়ের জন্য বহু ত্রাণশিবিরও খোলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় ধস নেমেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহর। শুধু ওই শহরেই দু’লক্ষের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজয়ওয়াড়ার মোগলরাজপুরমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। বৃষ্টির জেরে পাহাড় থেকে দু’টি বাড়ির উপরে বড় পাথর গড়িয়ে পড়ে পাঁচ জনের প্রাণ গিয়েছে।

অন্ধ্র ও তেলঙ্গানার বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার রাতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে দুই রাজ্যকেই বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

টানা বৃষ্টির জেরে হায়দরাবাদে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন। মৌসম ভবনের তরফেও কোনও আশার বাণী শোনানো হয়নি। দুই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা। জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।

Advertisement
আরও পড়ুন