Maharashtra Raigad Landslide

ধসে এখনও আটকে দেহ, তীব্র দুর্গন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি করে উদ্ধারকাজ মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে

রায়গড় জেলার ইরশালবাদী বুধবার ভোরে ধস নামে। পাহাড় ধসে গ্রামের বড় অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭ জনের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৪
Section 144 imposed in the place of landslide for foul smell in Maharashtra Raigad.

রায়গড়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।

মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন। লাশের দুর্গন্ধে ছেয়ে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপ। তাই তার কাছে কেউ যাতে না যান, তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।

রায়গড়ের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭। এখনও ৮১ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধ্বংসস্তূপে আরও দেহ আটকে আছে বলে আশঙ্কা। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা, ১০ জন পুরুষ ও চার শিশু রয়েছে। এক জনের শুধু দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে বলে তাঁর বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এক পরিবারের ন’জন সদস্যই প্রাণ হারিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। গ্রামটির জনসংখ্যা ২২৯, তাঁদের মধ্যে নিরাপদে রয়েছেন মাত্র ১১১ জন।

Advertisement

রায়গড় জেলার ইরশালবাদী বুধবার ভোরে ধস নামে। পাহাড় ধসে গ্রামের একটা বড় অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ৪৮টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে গিয়েছে। ওই সময় অনেকে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই অবস্থানেই বাড়ি ধসে গিয়েছে। অনেক বাড়ি কাদামাটিতে বসেও গিয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি করেনি। তবে প্রবল বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজ বার বার ব্যাহত হয়েছে। গ্রামটি পাহাড়ের মাঝে, সমতল থেকে বেশ খানিকটা উঁচুতে। সেখানে পৌঁছনোর তেমন কোনও রাস্তা নেই। দুর্গমতাই উদ্ধারকাজের অন্যতম প্রতিবন্ধক।

রায়গড়ে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। আহতদের চিকিৎসাও হচ্ছে সরকারি খরচে। এ ছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভূমিধসে ২ থেকে ১৪ বছরের যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক পরিবার হারিয়েছে, তাদের লেখাপড়া-সহ সামগ্রিক দায়িত্ব নেবে তাঁর শ্রীকান্ত শিন্ডে ফাউন্ডেশন।

Advertisement
আরও পড়ুন