Chandigarh Municipal Corporation

চণ্ডীগড়ে হাতাহাতি আপ, কংগ্রেস এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে! নেপথ্যে ‘অমিত শাহ’

মঙ্গলবার চণ্ডীগড় পুরনিগমে আপ এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা শাহের পদত্যাগের দাবি জানান। প্রথমে বিজেপি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বচসা হয় তাঁদের। তার পর দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৩
চণ্ডীগড় পুরনিগমে আপ, কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি। মঙ্গলবার।

চণ্ডীগড় পুরনিগমে আপ, কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের হাতাহাতি। মঙ্গলবার। ছবি: সংগৃহীত।

চণ্ডীগড় পুরনিগমে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন আম আদমি পার্টি (আপ), বিজেপি এবং কংগ্রেস কাউন্সিলরেরা। নেপথ্যে ‘অমিত শাহ’!

Advertisement

গত সপ্তাহে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। শাহি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধীরা শাহের পদত্যাগ দাবি করেন। মঙ্গলবার চণ্ডীগড় পুরনিগমে একই দাবি তোলেন আপ এবং কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা। বিজেপি কাউন্সিলরেরা তার বিরোধিতা করেন।

দিল্লি এবং পঞ্জাবের রাজনীতিতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক কংগ্রেস এবং আপ। মঙ্গলবারও চণ্ডীগড় পুরনিগমে কাউন্সিলরদের বৈঠকে দুই দল একত্রে শাহের পদত্যাগের দাবি জানায়। প্রথমে বিজেপি কাউন্সিলরদের সঙ্গে বচসা হয় দুই দলের কাউন্সিলরদের। তার পরেই শুরু হয় হাতাহাতি। দেখা যায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজের দিকে তাকিয়ে কিছু সময়ের জন্য থমকে যাচ্ছেন মারমুখী কাউন্সিলরেরা। তার পর ফের মারামারি শুরু করছেন।

গত মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর নিয়ে বিতর্কের শেষে জবাবি বক্তৃতায় শাহ বলেছিলেন, ‘‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর...। এত বার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত।’’ বুধবার থেকেই শাহের বিরুদ্ধে অম্বেডকর-অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব হয় কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর ইস্তফার দাবিতে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী ধর্না বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। অন্য দিকে, শাহের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দেয় তৃণমূল। শাহের মন্তব্যকে বিজেপির ‘দলিত-বিরোধী মনোভাব’-এর পরিচয় বলে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন