Manipur Violence

দু’মাস পর খুলল মণিপুরের স্কুল, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস চালু, খুশি পড়ুয়ারা

সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানিয়েছিলেন, বুধবার, ৫ মে থেকে স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪২
image of school in manipur

দু’মাস পর বুধবার মণিপুরে খুলল স্কুল। ছবি: টুইটার।

গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ৩ মে থেকে উত্তপ্ত ছিল মণিপুর। বন্ধ রাখা হয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার আবার খুলল সে রাজ্যের সব স্কুল। তবে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চালু হল। প্রথম দিন বেশির ভাগ স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম থাকলেও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক থেকে শিক্ষকেরা।

সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানিয়েছিলেন, বুধবার, ৫ মে থেকে স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারা। তাদের আর্জি, রোজ অন্তত কয়েক ঘণ্টা খোলা থাক স্কুল। প্রথম শ্রেণির ছাত্রী লিনথোই পিটিআইকে বলেছে, ‘‘আমি খুব খুশি। দু’মাস পর শিক্ষক এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। নতুন জিনিস শিখব।’’

Advertisement

চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার অভিভাবক ভবেশ শর্মা বলেন, ‘‘শিক্ষাই ভিত্তি। আশা করব, রাজ্যে শান্তি ফিরে আসবে।’’ যদিও তিনি পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের বাবা লাইশ্রাম ইবোচৌবা আবার এই বিষয়ে সরকারের আশ্বাস চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আশা করব, সরকার পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’ তবে তিনি সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভীত নন বলেও জানিয়েছেন।

সরকারের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি ওয়াংখেই হাই স্কুলের শিক্ষিকা আরকে রঞ্জিতা দেবী। তিনি বলেন, ‘‘মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্ধ স্কুল। রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনলাইন ক্লাসও করানো যায়নি। তার প্রভাব পড়েছে বাচ্চাদের পড়াশোনায়। অনেক পড়ুয়াই মন দিতে পারছে না।’’ রঞ্জিতা জানিয়েছেন, বুধবার তাঁর স্কুলে উপস্থিতির হার ছিল ১০ শতাংশ। তিনি আশাবাদী, শীঘ্রই উপস্থিতির হার বাড়বে। তিনি মনে করেন, পড়ুয়াদের স্বার্থেই স্কুল বন্ধ রাখা উচিত নয়। তবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ক্লাস চলাকালীন কোনও হিংসাত্মক ঘটনা হলে পড়ুয়াদের একা বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। অভিভাবক এলে তবেই ছাড়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন