Supreme Court

প্রাক্তন সাংসদের মুক্তি কেন? সুপ্রিম কোর্টে গেলেন খুন হওয়া আইএএস অফিসারের স্ত্রী

১৯৯৪ সালে পিটিয়ে মারা হয় ওই আইএএস অফিসারকে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিধায়ক আনন্দ মোহন। দীর্ঘ দিন চলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৫
ex MP Anand Mohan

নীতীশ সরকার সংশোধিত কারা আইনে মোট ২০ আসামীকে মুক্তি দিয়েছে। এঁরা প্রত্যেকে ১৪ বছর কারাবাসে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনন্দ। —ফাইল চিত্র।

আমলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর মুক্তির পর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন ১৯৯৪ সালে খুন হওয়া আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী।

তেলেঙ্গনার আইএএস অফিসার কৃষ্ণাইয়া তখন মুজফফরপুরে কর্মরত। গ্যাংস্টার ছোটন শুক্লের দেহ নিয়ে মিছিল করে শ্মশানে যাচ্ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। সেই সময় নিজের গাড়িতে ছিলেন আইএএস অফিসার কৃষ্ণাইয়া। মিছিল পেরিয়ে তাঁর গাড়ি এগিয়ে যাওয়ায় শুরু হয় ঝামেলা। পিটিয়ে মারা হয় ওই আইএএস অফিসারকে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিধায়ক আনন্দ মোহন। দীর্ঘ দিন চলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় প্রাক্তন সাংসদের।

Advertisement

সম্প্রতি নীতীশ সরকার সংশোধিত কারা আইনে মোট ২০ আসামীকে মুক্তি দিয়েছে। এঁরা প্রত্যেকে ১৪ বছর কারাবাসে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আনন্দ। গত ২৭ এপ্রিল তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এরই বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত আইএএস অফিসারের স্ত্রী। তাঁর দাবি, ১৪ বছর জেল খাটলেও সাজা পূরণ হয়নি প্রাক্তন সাংসদের। তাঁর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসেবে। তাই আদালতের নির্দেশ কঠোর ভাবে পালন করতে হবে এবং সাংসদের সাজা মকুব করা চলবে না। তিনি বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

মোহনের মুক্তির সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, মোহনকে মুক্তি দেওয়ার অন্য কারণ রয়েছে। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মোহন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকে শক্তিশালী করতে পারেন। তাই রাজ্য কারা আইন সংশোধনের সুবিধা নিয়ে প্রাক্তন সাংসদ এবং আরও কয়েক জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, নীতীশ জমানায় আইনের শাসন নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement