Shahi Idgah Masjid

মথুরার শাহি ইদগাহের মামলা এ বার সুপ্রিম কোর্টে, ইলাহাবাদ হাই কোর্টে চাওয়া হল রিপোর্ট

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতোই মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ধ্বংস করে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ২২:৫১
SC seeks report from Allahabad HC on suits related to Sri Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah dispute in Mathura

মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ। — ফাইল চিত্র।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের পরে এ বার মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ মামলা গেল শীর্ষ আদালতে। উত্তরপ্রদেশের মন্দিরনগরীর প্রাচীন ইদগাহটি সরানোর দাবিতে হিন্দুত্ববাদীদের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এই মামলার নথিপত্র ইলাহাবাদ হাই কোর্টের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এসকে কল এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে এ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়েছে। মামলার প্রকৃতি খতিয়ে দেখে বিষয়টি শীর্ষ আদালতের বিচারাধীন থাকবে কি না, তা বিবেচনা করা হতে পারে বলে বিচারপতি ধুলিয়া তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন।

মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের জন্মস্থানে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, অওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ থেকে ১৬৭০ সালে তৈরি করা হয়েছিল মসজিদটি। কাটরা কেশবদাস মন্দিরের ১৩.৩৭ একর জায়গায়।

Advertisement

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো মথুরা শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলির সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির দাবি ঘিরে একটি মামলা ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারাধীন। সেই মামলায় রায় ঘোষণার আগেই ইদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করার দাবিতে এর পর নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল মথুরা আদালতে। তার আগে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া)-এর অধীনে সেখানে সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল মথুরা আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশকে ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। ১৯৯১ সালের ওই আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের পর দেশে যে ধর্মীয় স্থান যে অবস্থায় ছিল, সে ভাবেই তা থাকবে।

Advertisement
আরও পড়ুন