Himachal Pradesh Crisis

হিমাচলে ছ’জন বিদ্রোহী বিধায়কের পদ খারিজ, হবে উপনির্বাচন, সুখুকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম-নির্দেশ?

দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ায় স্পিকার বিদ্রোহী ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৪

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

হিমাচল প্রদেশের বিদ্রোহী ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বরখাস্ত বিধায়কদের তরফে হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement

আগামী ৭মে ওই ছ’টি খালি আসনে উপনির্বাচনের জন্য শনিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তা-ও বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। পদ খারিজ হওয়া বিধায়কেরা হলেন, রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)।

দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন।

ওই ক্রস ভোটিংয়ের ফলে ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। ঘটনাচক্রে, ওই বিধায়কদের অধিকাংশই পদত্যাগী মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ এবং তাঁর মা তথা হিমাচল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। রাজ্যসভা ভোটের পরেই সুখুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারের অভিযোগ তুলে মন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিক্রমাদিত্য।

৬৮ সদস্যের হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ৩৫। ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজের ফলে এখন রইলেন ৬২ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক নামল ৩৩-এ। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের রইলেন ৩৪ বিধায়ক। বিজেপির ২৫। অর্থাৎ তিন নির্দলকে পাশে পেলেও কংগ্রেসকে ছুঁতে পারার কথা নয় বিজেপির। যদিও ইতিমধ্যেই বিক্রমাদিত্য-সহ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির ‘যোগাযোগে’র অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement