প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলির দ্রুত এবং যথাযথ বিচারের জন্য নতুন নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে মণিপুর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে, রাজ্যের ন’টি বিচারবিভাগীয় জেলায় ভিডিয়ো-কনফারেন্সিং সুবিধা স্থাপন করতে হবে। গোষ্ঠীহিংসার মামলাগুলির অভিযোগকারী পক্ষ, আইনজীবী এবং সাক্ষীরা যাতে ভার্চুয়াল শুনানির সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে।
মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার মামলাগুলিতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর আইনজীবীরা মণিপুর হাই কোর্টে শুনানিতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সম্প্রতি ওই রাজ্যের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল। তার পরেই এ বিষয়ে একটি আবেদন দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের রাজধানী ইম্ফলে মামলার শুনানিতে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই আবেদনে। যদিও প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার বলেছে, ‘‘এটি ছবির একটি দিক। সামগ্রিক চিত্র নয়। আমরা বিশ্বাস করি না যে মণিপুর হাই কোর্ট দায়িত্ব পালনে অক্ষম।’’
প্রসঙ্গত, গত ৮ অগস্ট মণিপুর হিংসার তদন্ত এবং হিংসার ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উপর নজরদারির জন্য হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়েছিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে জানিয়েছিল, মণিপুরে হিংসার ঘটনার তদন্তে যুক্ত ৪২টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর উপর নজরদারি করবেন ভিন্রাজ্যের ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা। এক জন ডিআইজি ছ’টি সিটের উপর নজরদারি করবেন।
কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি শীর্ষ আদালতকে জানান, কংপোকপিতে দুই কুকি জনজাতির মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ১১টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই তদন্তকারী দলে দু’জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট তখন নির্দেশ দেয়, ভিন্রাজ্যের পাঁচ জন ডিএসপি স্তরের অফিসার সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবেন। তাঁদের উপরে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দত্তাত্রেয় পড়সলগিকর।