বুধবার রাতে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেন সেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করার অভিযোগ তোলা হয়। দিল্লির রুশ দূতাবাসের টুইটারে লেখা হয়, ‘সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী এই ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করেছে এবং তাঁদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যে কোনও উপায়ে তাঁদের রাশিয়া যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করার অভিযোগ খারিজ করল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রনের ভারতীয় দূতাবাস সেখানকার ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছে। গতকাল (বুধবার) অনেক ভারতীয় পড়ুয়া খারকিভ শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তবে কাউকে বন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ ভায়তীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের উদ্যোগের প্রশংসাও করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের পণবন্দি করার খবরের সত্যতা যাচাই করে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ওই বিবৃতি তাঁর সরকারি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করার খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে আমাদের প্রতিক্রিয়া।’
Our response to media queries regarding reports of Indian students being held hostage in Ukraine ⬇️https://t.co/RaOFcV849D pic.twitter.com/fOlz5XsQsc
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 3, 2022
বুধবার রাতে রাশিয়ার তরফে ইউক্রেন সেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করার অভিযোগ তোলা হয়। দিল্লির রুশ দূতাবাসের টুইটারে লেখা হয়, ‘সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী এই ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করেছে এবং তাঁদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যে কোনও উপায়ে তাঁদের রাশিয়া যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর সম্পূর্ণ দায় কিভের।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করে, যে সব ভারতীয় পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যেতে চাইছেন, তাঁদের খারকিভে আটকে রাখা হয়েছে। রাশিয়ায় পৌঁছতে পারলেই তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানায় ভ্লাদিমির পুতিন সরকার। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে রাশিয়া, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং মলডোভার সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।