Mohan Bhagwat

সংঘাত নেই, দাবি সঙ্ঘের মুখপত্রের

ভাগবত সম্প্রতি মন্দির-মসজিদ বিতর্কের ইতি টানার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যে ভাবে মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ খোঁজা শুরু হয়েছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে শুভ নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৩
মোহন ভাগবত।

মোহন ভাগবত। —ফাইল চিত্র।

সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের কোনও প্রশ্ন ওঠে না বলে জানিয়ে দিল আরএসএসের মুখপত্র। মুখপত্রের সম্পাদক প্রফুল্ল কেতকর সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পাদকীয়ের সঙ্গে মোহন ভাগবত পুণেতে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তার সম্পর্ক জুড়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। মুখপত্রটি সর্বদা সম্প্রীতির পক্ষে।

Advertisement

ভাগবত সম্প্রতি মন্দির-মসজিদ বিতর্কের ইতি টানার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যে ভাবে মসজিদের নীচে শিবলিঙ্গ খোঁজা শুরু হয়েছে, তা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে শুভ নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ভাগবত ওই মন্তব্য করলেও, আরএসএসের মুখপত্রের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদ কাহিনী করা হয়েছে সম্ভল মন্দির বিতর্ক নিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, বিতর্কিত স্থান ও কাঠামোর প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের। প্রবন্ধে বিতর্কিত উপাসনাস্থলকে মুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করে বলা হয়েছে, সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে।

সঙ্ঘ প্রধান যখন মন্দির-মসজিদ বিতর্ক এড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছেন তখন তাদের মুখপত্রেই ভিন্ন পথে হাঁটার ইঙ্গিত দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। মুখপত্রের সম্পাদক কেতকার বিবৃতি দিয়ে বলেন, ১৮ ডিসেম্বর সম্ভলে যা হয়েছে তার ভিত্তিতে মুখপত্রের সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর পুণেয় সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ভাষণ দেন। কেতকরের দাবি, সুতরাং মুখপত্রের প্রবন্ধটিকে ভাগবতের বক্তৃতার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা অনুচিত এবং অযৌক্তিক।

প্রফুল্লের দাবি, “ভারতের বিশ্বগুরু হওয়ার প্রশ্নে সামাজিক সম্প্রীতিকে একটি অন্যতম শর্ত হিসাবে তুলে ধরেছিলেন সঙ্ঘ-প্রধান। মুখপত্র সেই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করে। তাই মুখপত্রের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক তৈরি করা অর্থহীন।”

Advertisement
আরও পড়ুন