আটকে পড়া অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য রাস্তা ছাড়ল যুযুধান দুই গোষ্ঠী। শনিবার কেরলে। ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তা আটকে মারামারি করছিলেন বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সদস্যেরা। হঠাৎই সেই পথে চলে আসে অ্যাম্বুল্যান্স। হাতাহাতিতে মগ্ন দুই গোষ্ঠীই সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ায়। অ্যাম্বুল্যান্সকে রাস্তা ছেড়ে দিতে কিছু ক্ষণের জন্য লাগাম পরায় মারামারিতেও। কিন্তু ওই কিছু ক্ষণের জন্যই। অ্যাম্বুল্যান্স চলে যেতেই ফের শুরু হয় মারামারি। শনিবার বিরল এই ঘটনার সাক্ষী রইল কেরল।
কেরলের কোঝিকোড় জেলায় একটি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতর চলছিল। কেরলে কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্কের বিষয়ে সকলেই অবহিত। এ হেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, সিপিএমের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস প্রার্থীরা। অভিযোগ, তার পরেই দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় মারামারি।
মারামারি থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দেওয়ার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ‘ভাইরাল’ হয়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তবে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে নেটাগরিকদের একাংশ মশকরা করে লিখছেন, ‘এমন নাগরিক চেতনার নজির কেবল কেরলই দেখাতে পারে।’ প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কেরলেই এনআরসি-বিরোধী মিছিলের উদ্যোক্তারা আটকে পড়া একটি অ্যাম্বুল্যান্সকে রাস্তা করে দিয়েছিলেন। দু’টি ঘটনা উল্লেখ করে কেরলের এক নেটাগরিকের গর্বিত উচ্চারণ, ‘‘এটাই আসল কেরল স্টোরি।’’