Jammu and Kashmir Clash

আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নেওয়া পাক এসএসজি কমান্ডোদের মদত, জম্মুতে হামলা নিয়ে বলল রিপোর্ট

চলতি জুলাই মাসে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন। জঙ্গিদের যার জোগানও দিয়েছে পাক বাহিনী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩৩
জম্মুতে সেনার টহল।

জম্মুতে সেনার টহল। — ফাইল চিত্র।

পাকিস্তান সেনার প্রাক্তন অফিসারদের প্রত্যক্ষ মদতে জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। সেই রিপোর্ট জানাচ্ছে, পাকিস্তানের এলিট কমান্ডো বাহিনী ‘স্পেশ্যাল সার্ভিস গ্রুপ’ (এসএসজি)-এর প্রাক্তন অফিসারেরাই জঙ্গিদের দূর পাল্লার এম৪ কার্বাইনের মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শেখাচ্ছেন, সেনার উপর চিনা ‘স্টিল কোর’ বুলেট ব্যবহার করে গেরিলা হানার কৌশল।

Advertisement

কোথা থেকে আসছে এই সব অস্ত্র এবং বিস্ফোরক? গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, এগুলির বেশির ভাগই ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ফেলে যাওয়া আমেরিকার সেনার অস্ত্র। চলতি জুলাই মাসে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায় তৈরি এম৪ কার্বাইন। নিরাপত্তাবাহিনীর বক্তব্য, আফগানিস্তানে নেটো ও আমেরিকার ফেলে যাওয়া অস্ত্রই হাত ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে কাশ্মীরের জঙ্গিদের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি গত বছর জানিয়েছিল, পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং রসদের জোগান দিয়েছিল পাক সেনা।

তদন্তে সে সময়ে জানা গিয়েছিল, ২০২১ সালে আমেরিকা যে সব বুলেট আফগানিস্তানে ফেলে এসেছিল, সেগুলিই পুঞ্চ হামলায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ভেদ করতে সক্ষম ওই বুলেট। সে কারণেই সংঘর্ষের সময় সেনা এবং আধাসেনার হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে লক্ষণীয় ভাবে। ২০২১ সালের আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের সময় তালিবানের হয়ে সাধারণ পোশাকে লড়াই করতে এসএসজি কমান্ডোদের কয়েকটি ইউনিটকে পাঠানো হয়েছিল। তারাই ওই অস্ত্র নিয়ে আসে বলে গোয়েন্দাদের অনুমান। পরবর্তী সময়ে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, কাশ্মীর টাইগার্সের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে তার একাংশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন
Advertisement