Farmers' Protest

কৃষি আইন নিয়ে বুধবার বিরোধীদের জবাব দেবে সরকার, রাজ্যসভায় ঘোষণা বেঙ্কাইয়া নায়ডুর

হট্টগোলের জেরে স্থগিত অধিবেশন। বাদল অধিবেশনেও কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার সময় ছিল না বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৪২
ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিরোধীদের।

ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ বিরোধীদের।

কৃষি আইন নিয়ে সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেবে সরকার। বুধবার বিষয়টি রাজ্যসভায় তোলা হবে। জানালেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কিন্তু তাদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন নায়ডু। জানিয়ে দেন, এ নিয়ে যা বলার তা বুধবার বলতে হবে। প্রবল হই হট্টগোলের জেরে দিনভরের জন্য রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়।

মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা। বিতর্কিত ৩টি আইন প্রত্যাহার করার দাবিও তোলেন। ওয়েলে নেমে কৃষকদের সমর্থনে স্লোগানও তোলেন অনেকে। তাতে চরম হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। তাঁদের নিরস্ত করতে নায়ডু জানান, বুধবার এ নিয়ে আলোচনা হবে।

Advertisement

তবে তাতেও হট্টগোল থামেনি। তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘বাদল অধিবেশনেও কৃষকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় ছিল না রাজ্যসভার কাছে। কৃষকদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা কোন পর্যায়ে, তা-ও জানি না আমরা।’’ আন্দোলনকারী কৃষকদের হঠাতে সীমানায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার তীব্র সমালোচনা করেন সিপিএম সাংসদ ইলামরম করিম। তিনি বলেন, ‘‘টিকরি ও সিংঘু সীমানায় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হোক সরকারকে।’’

ডিএমকে নেতা তিরুচি শিব বলেন, ‘‘শয়ে শয়ে কৃষক ঠান্ডায় বসে রয়েছেন। ওঁদের সমস্যা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত।’’ রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘‘সংসদ জনপ্রতিনিধিদের জায়গা। রাস্তায় যাঁরা বসে রয়েছেন, তাঁদেরই প্রতিনিধি আমরা। তাঁদের সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারে না সংসদ।’’ সিপিআইয়ের বিনোদ বিশ্বম দাবি করেন, ‘‘অন্নদাতারা রাস্তায় বসে রয়েছেন। তাঁদের অবহেলা করতে পারি না আমরা।’’

জবাবে নায়ডুর বক্তব্য ছিল, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা স্থির হয়েছিল। তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৪ ঘণ্টা। আলোচনা শুরুও হয়। তা সত্ত্বেও আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়নি বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

নায়ডুর এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হয়েছিল বলে পাল্টা দাবি করেন তাঁরা। প্রতিবাদে একে একে ওয়াকআউট করতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদদের অনেকে। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য অবশ্য ফিরেও আসেন অনেকে। তাঁদের শান্ত হতে বলেন নায়ডু। কিন্তু তাতেও স্লোগান থামেনি। সংসদের রেকর্ড থেকে স্লোগান বাদ দিতে নির্দেশ দেন নায়ডু। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত, তার পর বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করেন তিনি। পরে দিনভরের জন্যই সভা মুলতুবি করা হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন