দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং (ডান দিকে) রাজ ঠাকরে। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের অন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে ‘প্রিয় বন্ধু’ দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে অপ্রত্যাশিত অনুরোধ করে চিঠি দিলেন রাজ ঠাকরে। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ফডণবীসের কাছে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র প্রধান ঠাকরের অনুরোধ, ওই কেন্দ্রে বিজেপি যাতে কোনও প্রার্থী না দেয়। যাতে ওই কেন্দ্রের অধুনা প্রয়াত বিধায়ক রমেশ লটকের স্ত্রী রুতুজা লটকে জয়ী হতে পারেন।
নিজের চিঠিতে এই অনুরোধের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো। চিঠিতে ফডণবীসকে ‘প্রিয় বন্ধু দেবেন্দ্র’ বলে সম্বোধন করে ঠাকরে লিখেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, এ ভাবে আমরা প্রয়াত জনপ্রতিনিধিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে পারি। এমন করা হলে তা মহারাষ্ট্রের মহান সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। আশা করি, আপনি আমার অনুরোধ রাখবেন।’’
শিবসেনায় প্রয়াত বিধায়ক রমেশের প্রশংসা করে রাজ লিখেছেন, ‘‘শাখা প্রধান হিসাবে নিজের রাজনৈতিক সফর শুরু করেছিলেন তিনি (রমেশ)। তাঁর রাজনৈতিক সফরের এক জন সাক্ষী ছিলাম আমি। মৃত্যুর পর যদি তাঁর স্ত্রী বিধায়ক হন, তবে রমেশের আত্মা শান্তি পাবে।’’ যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে ফডণবীস অথবা বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মুরজি পটেল জানিয়েছেন, দল চাইলে এই কেন্দ্রের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়ায় অন্ধেরি পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক রমেশ লটকের মৃত্যুর পর এই কেন্দ্রে আগামী ৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গত জুনে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনায় ফাটলের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন উদ্ধব ঠাকরে। বিজেপির সমর্থন পেয়ে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। তার পরেও শিবসেনার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শিন্ডে এবং উদ্ধব গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বৈরথ চলতেই থাকে। এই কেন্দ্রেও ‘প্রকৃত শিবসেনার’ দ্বৈরথ ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। যার জেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব-গোষ্ঠী। এর পর নির্বাচনে ‘ঢাল-তরোয়াল’ প্রতীকে লড়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি পেয়েছেন শিন্ডেরা। অন্য দিকে, উদ্ধব-গোষ্ঠীকে ‘মশাল’ প্রতীক ব্যবহারে সায় দিয়েছে কমিশন।