Rahul Gandhi

উপকূলে খনির দরপত্র খারিজ করুন, মোদীকে চিঠি রাহুলের

খনি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ১৩টি খনি ব্লকের লাইসেন্স প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করা ইস্তক উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাহুল বলেন, ১৩টি ব্লকের মধ্যে তিনটি বালি খনির ব্লক রয়েছে কোল্লামের উপকূলে। কোল্লাম একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য প্রজননস্থল।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৫
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কেরল, গুজরাত এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে উপকূলীয় খনির দরপত্র বাতিল করার দাবি তুলেছেন। সামুদ্রিক জীবনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, পরিবেশের উপরে অভিঘাত মূল্যায়ন না করেই খনির ব্লকগুলি উন্মুক্ত করে দেওয়াটা উদ্বেগজনক। ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাতেই আমি আপনাকে লিখছি’’, মোদীকে লিখেছেন রাহুল।

Advertisement

২৫শে মার্চ লেখা ওই চিঠি রাহুল নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন রবিবার। নিজের ওয়টসঅ্যাপ চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘‘স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ না করে, পরিবেশগত গবেষণা না করে কেরল, গুজরাত এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে উপকূলীয় খনির অনুমতি দেওয়ার প্রতিবাদে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছি। এই খনির ফলে লক্ষ লক্ষ জেলেদের জীবিকা প্রভাবিত হবে এবং আমাদের বৈচিত্র্যময় সামুদ্রিক জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। সরকারকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক।’’

খনি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ১৩টি খনি ব্লকের লাইসেন্স প্রদানের জন্য দরপত্র আহ্বান করা ইস্তক উপকূলীয় অঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাহুল বলেন, ১৩টি ব্লকের মধ্যে তিনটি বালি খনির ব্লক রয়েছে কোল্লামের উপকূলে। কোল্লাম একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য প্রজননস্থল। কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের জলজ জীববিজ্ঞান ও মৎস্য বিভাগের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উপকূলীয় খননকাজ মাছের প্রজননের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলতে পারে। কেরলে ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষ পেশায় ধীবর। এই খনি তাঁদের জীবন বিপন্ন করে তুলবে। গ্রেট নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কথাও মনে করিয়েছেন রাহুল। ওই দ্বীপপুঞ্জ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বহু বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর আবাস সেখানে। প্রবাল প্রাচীরের ক্ষতি, মাছের মজুত হ্রাস, জলজ প্রাণের বিপদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কার দিকগুলি খতিয়ে দেখার কথা বলে সামগ্রিক ভাবেই রাহুলের বক্তব্য হল, পরিবেশ এবং আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আগে গবেষণা হোক এবং কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জড়িত সব পক্ষের সঙ্গে, বিশেষ করে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ
করা উচিত। সংবাদ সংস্থা

Advertisement
আরও পড়ুন