ওয়েনাড়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনে রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
বাবার মৃত্যুর সময় যেমন কষ্ট হয়েছিল, ওয়েনাড়ে গিয়ে সে রকমই হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেরলের বিপর্যস্ত এই জেলা পরিদর্শনের পর সে কথাই জানালেন রাহুল গান্ধী। তিনি ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদও। মঙ্গলবার ভোরে ওয়েনাড়ে ধস নেমে মারা গিয়েছেন শতাধিক জন। বৃহস্পতিবার বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে ওয়েনাড় পরিদর্শনে গিয়ে রাহুল জানান, গোটা ঘটনা ‘বেদনাদায়ক’।
বৃহস্পতিবার বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে যান রাহুল। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। তিনি কেরলের আলাপুঝার সাংসদ। বিপর্যস্ত এলাকা, মেপ্পাড়ির একটি চিকিৎসাকেন্দ্র এবং হাসপাতাল ঘুরে দেখেন রাহুলেরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি জানান, শুধু ওয়েনাড় নয়, গোটা দেশের জন্য এটা একটা ‘ট্র্যাজেডি’। রাহুলের কথায়, ‘‘ওয়েনাড়, কেরল এবং গোটা দেশের জন্য এটা একটা ট্র্যাজেডি। বহু মানুষ নিজের পরিজন এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা সাহায্যের চেষ্টা করছি। যাঁরা জীবিত, তাঁরা যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকে নজর রাখছি।’’ এর পরেই রাহুল জানান, ওয়েনাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে তাঁর বাবার মৃত্যুর কষ্টটা ফিরিয়ে দিয়েছে। ১৯৯১ সালে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি সে দিনের কথাই মনে করাচ্ছে বলে দাবি রাহুলের। তিনি বলেন, ‘‘বাবা (রাজীব) যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন যে কষ্ট পেয়েছিলাম, আজ সে রকম লাগছে। এখানকার বহু মানুষজন শুধু বাবাকে নয়, গোটা পরিবারকে হারিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।’’
রাহুল জানিয়েছেন, ওয়েনাড়ে এখনও বহু মানুষ বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়নি। চিকিৎসক, নার্স, প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এ-ও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম রাজনীতি তিনি চান না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখন শুধু ওয়েনাড়ের মানুষের কথা ভাবছি।’’ প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, তাঁর দল সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। প্রসঙ্গত, প্রিয়ঙ্কা ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী।
চলতি লোকসভা ভোটে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দু’টি আসন থেকেই জয়ী হন রাহুল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড় জিতিয়েছিল রাহুলকে। এ বারের ভোটের পর ওয়েনাড় আসন ছেড়ে দেন রাহুল। মা সনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে সংসদে শপথ নেন তিনি।