কতটা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে, ধরা পড়েছে ইসরোর উপগ্রহচিত্রে। ছবি: ইসরো।
৮৬ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে পাহাড় থেকে ধস নেমে আসে ওয়েনাড়ে। যা ১৩টি আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সমান। বৃহস্পতিবার ওয়েনাড়ের ধসের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে ইসরো। সেই উপগ্রহচিত্রেই ধরা পড়েছে, কতটা এলাকা জুড়ে পাহাড় ধসে গিয়েছে। আর সেই ধসে রাতারাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ওয়েনাড়ের চারটি পাহাড়ি গ্রাম চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা এবং নুলপুঝা।
৩১ জুলাই রিস্যাট-২বি উপগ্রহের মাধ্যমে ওয়েনাড়ের ধসের একটি ছবির বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ধসের সঙ্গে কাদামাটি, বড় বড় পাথর, গাছ পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসে। সেই ধস আট কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। তার পর চালিয়ার নদীর একটি শাখানদীতে গিয়ে পড়ে। সেই ধস এত দ্রুত গতিতে নেমে আসে যে, ওই আট কিলোমিটার পথের মধ্যে যা যা পড়েছে, সব কিছু নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ধসের এই গতিপথেই ছিল ওয়ানাড়ের চার গ্রাম। ফলে সেগুলিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বিপুল পরিমাণ কাদামাটি ধসের সঙ্গে নেমে এসেছে। আর তাতেই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় হয়েছে এই ধস। ধস যত বসতি এলাকার দিকে এগিয়েছে, হড়পা বানের স্রোত আরও শক্তিশালী হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪৮ ঘণ্টায় ৫৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি বেশি হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে ওয়েনাড়ে ধস নামে। চার ঘণ্টার মধ্যে পর পর চারটি ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় চারটি গ্রাম। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭৬ জনের। এখনও নিখোঁজ দুই শতাধিক।