রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে পরপর দু’দিন প্রচারে নামতে পারলেন না রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন তুলল বিজেপি। বুধবার দিল্লির সদর বাজার লোকসভা কেন্দ্রে রাহুলের জনসভা বাতিল করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর মুস্তফাবাদের প্রচার সভা বাতিল হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্যই রাহুলকে দিল্লির ভোটের প্রচারসভা বাতিল করতে হয়েছে। বিজেপির প্রশ্ন, কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে কি গোপন বোঝাপড়া হয়েছে? আরও অভিযোগ, কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা কেউই দিল্লির ভোটে প্রচার করছেন না। পুরোটাই শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিতের উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেস শীর্ষনেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রচারে যাননি।
দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব জানান, অসুস্থতার জন্য ডাক্তাররা রাহুলকে জনসভা না করা ও গলার উপরে চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, এর মধ্যে কোনও গোপন আঁতাঁতের প্রশ্ন নেই। অসুস্থতার জন্যই রাহুল গত মঙ্গলবার কর্নাটকের বেলগাভিতে ‘জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান’ জনসভাতেও যেতে পারেননি। শুক্রবার তাঁর দিল্লির মাদীপুরে জনসভা করার কথা। সেখানে তিনি অংশ নিতে পারেন কি না, তা দেখার। দিল্লির ভোটে স্রেফ উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীলমপুরে রাহুল জনসভা করেছিলেন।
কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব যে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে প্রচারে নরম সুর নিচ্ছে না, তা বোঝাতে রাহুল আজ ফেসবুকে লিখেছেন, দিল্লির মানুষ এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের উন্নয়নের মডেল চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বা কেজরীওয়ালের মিথ্যে প্রচারের মডেল চাইছেন না। খারাপ নির্মাণ, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দূষণ, দুর্নীতি—দিল্লির সত্য এখন জনতার সামনে স্পষ্ট। কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের প্রধান পবন খেরা আজ আপ-এর বিরুদ্ধে নতুন করে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। আপ-বিধায়ক শরদ চৌহানের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং তিনি শোনান, যাতে তিনি বলছেন, মণীশ সিসৌদিয়া তাঁকে মদের সংস্থাগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করতে বলেছেন। খেরার মন্তব্য, আপ আসলে ‘অ্যালকোহল
অ্যাফেকটেড পার্টি’।