Saif Ali Khan Attack Case

‘ছেলেকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে,’ বললেন বিএনপি নেতা, সইফ-কাণ্ডে ধৃত শরিফুলের বাবা

তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে নাকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে হয়, এমনও জানিয়েছেন ধৃতের বাবা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৮
সইফকাণ্ডে কী বললেন ধৃত শরিফুলের বাবা?

সইফকাণ্ডে কী বললেন ধৃত শরিফুলের বাবা? গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সইফ আলি খানের বাড়িতে ১৬ জানুয়ারি যে হামলা হয়, সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। মুম্বই পুলিশ আগেই জানিয়েছে, ধৃত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তিনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল নাকি স্বীকার করেছেন সইফের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশেই ঢুকেছিলেন। ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রার অভিজাত সৎগুরু শরণ আবাসনে পাঁচিল টপকে প্রবেশ করেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। চলে যান সোজা ১০ তলায়, সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে। কোটি টাকা দাবি করেন। না দিতেই এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন অভিনেতাকে। দু’পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। গুরুতর আহত হন সইফ। যদিও শরিফুলের বাবা এ কথা স্বীকার করতে নারাজ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শরিফুলের বাবা মহম্মদ রহুল আমিন দাবি করেন, ‘‘সিসিটিভি ক্যামেরায় যাকে দেখা গিয়েছে সে আমার ছেলে নয়। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’’

Advertisement

অভিনেতাকে ছয় বার কোপ মেরে তাঁর শিরদাঁড়ায় ছুরিকাঘাত করেন আততায়ী। চুপি চুপি সিঁড়ি দিয়ে পালাচ্ছিলেন শরিফুল। কিন্তু ধরা পড়ে যান সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনার প্রায় তিন দিন পর ঠাণে থেকে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, জানায় মুম্বই পুলিশ। তবে একটা ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছিল। ধৃত শরিফুল ও সিসিটিভিতে যে ব্যক্তিকে দেখা যায়, তাঁদের মুখের মিল নেই বলেই দাবি একটা বড় অংশের। এ বার তাতেই সিলমোহর দিলেন ধৃত শরিফুলের বাবা। তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে নাকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে হয়, এমনও জানিয়েছেন তিনি। শরিফুলের বাবার কথায়, ‘‘আমার ছেলে গত ৩০ বছরে কখনও চুল বড় করেনি। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গিয়েছে তাঁর সঙ্গে আমার ছেলের চেহারার মিল নেই। আমার বিশ্বাস আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। ও বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছে একটাই কারণে, বাংলাদেশের টালমাটাল অবস্থার জন্য। ও তো চাকরি করত এক জায়গায় যেখানে ও পারিশ্রমিক পেত। এমনকি ওর মালিক ওকে পুরস্কারও দিয়েছিল।’’ শরিফুলের বাবার দাবি, বিদেশ-বিঁভুইয়ে কাজের খোঁজেই এসেছিলেন তাঁর ছেলে। তিনি এ-ও স্পষ্ট করে দেন, তাঁর ছেলের পক্ষে বলিউডের এমন নামী তারকার উপর হামলার ছক কষা সম্ভবই নয়। যদিও মাঝে শোনা গিয়েছিল, শরিফুলের বাবা নাকি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তি ও গ্রেফতার হওয়ার শরিফুল একই মানুষ বলে দাবি করেন। যদিও সেই তত্ত্ব নস্যাৎ করে দেন ধৃতের বাবা।

Advertisement
আরও পড়ুন