মিষ্টিমুখ: নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পাওয়র পরে সদ্য নির্বাচিত সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে দাদা রাহুল গান্ধী। ছবি পিটিআই।
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ওয়েনাড়ের সাংসদ হিসেবে বৃহস্পতিবার লোকসভায় শপথ নেবেন। তার আগে আজ ফের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা। রবার্টের বক্তব্য, ‘‘বরাবরই চেয়েছিলাম, প্রিয়ঙ্কা সংসদে যাক। সেই শুভ দিন আসতে চলেছে। অনেক দিন ধরে এটা বকেয়া ছিল। আমার শ্বশুর রাজীব গান্ধী বেঁচে থাকলে গর্ব বোধ করতেন। আর যদি মানুষ মনে করেন, আমি রাজনীতিতে নতুনকিছু করতে পারব, তা হলে আমিও সংসদে যাব।’’
প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা লোকসভায় জিতে আসার পরে এখন সংসদে একই সঙ্গে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যকে দেখা যাবে। সনিয়া গান্ধীকে রাজ্যসভায়, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে লোকসভায়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রিয়ঙ্কার শপথের আগে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রিয়ঙ্কার শপথের সময়ে সনিয়া লোকসভার গ্যালারিতে থাকবেন। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের নান্দেড় থেকে উপনির্বাচনে জিতে আসা রবীন্দ্র চহ্বাণও শপথ নেবেন। আজ কেরলের ওয়েনাড়ের নেতারা দিল্লিতে এসে রাহুল, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করেন। প্রিয়ঙ্কার হাতে ওয়েনাড়ের জয়ের শংসাপত্র তুলে দেন। মিষ্টিমুখ হয়।
প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘জয়ের শংসাপত্র নিছক কোনও নথি নয়। ওটা ওয়েনাড়ের মানুষের ভালবাসা, আস্থা ও আমাদের মূল্যবোধের প্রতীক।’’ ঠিক হয়েছে, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা দু’জনে মিলে ওয়েনাড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলার দিকটি সংসদের ভিতরে-বাইরে তুলে ধরবেন। প্রিয়ঙ্কা ৩০ নভেম্বর ওয়েনাড় যাবেন। জয়ের পরে প্রথম ওয়েনাড় গিয়ে ১ ডিসেম্বর রোড-শো করবেন।