রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত করে শীতকালীন অধিবেশনেই প্রায় বিরোধীহীন সংসদের দু’কক্ষে নতুন দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিনটি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এ বার সেই বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ায় ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হল ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দিয়ে এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’-এ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন। এর পরেই বিল তিনটি সংসদীয় সশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, শাহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই আইন বদলের বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ২২ অগস্টের সেই চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘‘আইন বদলের এই উদ্যোগ ভারতীয় জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রেখেই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও তাড়াহুড়ো করে বিল পাশের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু বিরোধীদের সেই দাবি উপেক্ষা করেই নতুন আইন প্রণয়ন করলেন মোদী-শাহেরা।