হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
বিহারে রামনবমীর হিংসার কারণ হিসাবে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহার পুলিশের দাবি, রামনবমীতে অশান্তি বাধানোর নেপথ্যে ছিল দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা। পুলিশের মতে, সেই ছক কষা হয়েছিল অনেক আগেই। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন বিহারের নালন্দা জেলার বজরং দলের আহ্বায়ক কুন্দন কুমার। এমনটাই জানাচ্ছে এনডিটিভি।
বিহার পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর ছক কষেছিল অভিযুক্ত কুন্দন কুমার। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন মোট ৪৫৬ জন সদস্য। পুলিশের মতে, গ্রুপটি খোলা হয়েছিল রামনবমীর কিছু দিন আগেই। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন হলেন কুন্দন। এমনটাই জানিয়েছেন বিহার পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) জিতেন্দ্র সিংহ গাওয়ার। তিনি আরও জানিয়েছেন, নালন্দার বজরং দলের সেই আহ্বায়কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার পর ওই বজরং দল নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, কিষাণ কুমার নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আরও এক অ্যাডমিন আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছেন গাওয়ার।
এই প্রসঙ্গে বিহার পুলিশের এডিজি বলেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমেই হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রচার চালানো হচ্ছিল।’’ বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে, ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে মানুষকে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। নালন্দায় হিংসার ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এ ছাড়া আত্মসমর্পণ করেছেন ২ জন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাওয়ার।
গত ৩১ মার্চ বিহারশরিফে ছড়িয়ে পড়েছিল অশান্তি। তার জেরে নিহত হন এক তরুণ। আহত হন অনেকে। বিহারের রোহতাস জেলাতেও ছড়ায় অশান্তি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল বিহার পুলিশ।