রেললাইনে কাজ করছেন রেলকর্মীরা। —ফাইল চিত্র।
রেললাইনে এ বার মিলল প্রায় ২৫ ফুট লম্বা লোহার রড। ঘটনাস্থল এ বারও উত্তরপ্রদেশ। পিলিভিত এবং বরেলীর মাঝে রেললাইন থেকে ওই রডটি উদ্ধার হয়েছে। এর আগেও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কখনও কানপুরে, কখনও প্রয়াগরাজে। রেললাইনে মিলেছে গ্যাসের সিলিন্ডার। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে ওই লোহার রডটি পাওয়া যায়। লম্বায় ২৫ ফুট, চওড়ায় প্রায় ১২ মিলিমিটার। এলাকাটি জাহানাবাদ থানার অন্তর্গত। পুলিশ ইতিমধ্যে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পিলিভিত পুলিশের সার্কেল অফিসার দীপক চতুর্বেদী জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পিলিভিত এবং বরেলীর মাঝে লালৌরিখেড়ার কাছে রেললাইনে লোহার রডটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। একটি দ্রুতগতির ট্রেন তাতে ধাক্কা মারে। যদিও কোনও অঘটন ঘটেনি। লোহার রডে ধাক্কা মারার পর ট্রেনটি প্রায় মিনিট চারেক দাঁড়িয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ঘটনার পর স্থানীয় থানা, জিআরপি এবং আরপিএফের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। কেন ওই লোহার রডটি রেললাইনে পড়ে ছিল? কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তা ফেলে রেখেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কখনও গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও সিমেন্টের চাঁই, তো কখনও আবার কাঠের গুঁড়ি। সম্প্রতি রেললাইনে এমন বিভিন্ন জিনিস পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। গত মাসে উত্তরপ্রদেশের কানপুর সংলগ্ন প্রেমপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনে প্রায় ৬ কেজি ওজনের একটি কাঠের গুঁড়ি পড়ে ছিল। সেপ্টেম্বরেও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। লাইনের উপর পড়ে থাকা কাঠের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরেছিল একটি দূরপাল্লার ট্রেন। ওই ঘটনায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ট্রেনের ইঞ্জিন।
গত কয়েক মাসে কখনও গুজরাত, কখনও মধ্যপ্রদেশ আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠে এসেছে। রেললাইনের উপর গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পর পর এই ঘটনাগুলির নেপথ্যে কোনও অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা-ও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রেল।