সবুজে ঘেরা থাক চারপাশ। ছবি : সংগৃহীত।
সবুজ দেখলে চোখ ভাল থাকে। সবুজের কাছাকাছি মনও ভাল থাকে বলে দাবি করেন অনেকে। সুন্দর গাছপালা দিয়ে বাড়ি সাজিয়ে মন ভাল রাখা যেতেই পারে। কিন্তু অনেকেই সময়ের অভাবে যত্ন করতে পারবেন না ভেবে, সেই ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু জানেন কি, হাতের কাছে থাকা ঘরোয়া উপকরণেও গাছের যত্ন নেওয়া যায়। আর তার জন্য সময়ও ব্যয় করতে হয় না তেমন। কলা খাওয়ার পর যে খোসাটা ফেলে দেন বা যে টি ব্যাগটা ব্যবহারের পর কোনও কাজে লাগান না, সেগুলিই গাছের যত্নে কাজে লাগাতে পারেন।
কফি গুঁড়ো: কফির গুঁড়োতে (ইনস্ট্যান্ট কফি নয় ) থাকে নাইট্রোজেন। যা গাছকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। মাটিতে গুঁড়নো কফি ছড়িয়ে দিলেই দেখতে পাবেন ম্যাজিক।
ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় আছে ক্যালসিয়াম। যা গাছকে মজবুত ভাবে বাড়তে সাহায্য করে। গাছের বাড়ের সময়ে ডিমের খোসা গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিন।
কলার খোসা: এক বোতল জলে কলার খোসা ভিজিয়ে ২-৩ দিন রেখে দিন। তার পর সেই জল গাছে দিন। কলার খোসায় থাকে পটাসিয়াম এবং ফসফরাস। যা গাছকে দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে।
সব্জির খোসা: রোজ রান্নার পরে যে সব্জির খোসা জমা হয়, সেগুলো নিশ্চয়ই ফেলে দেন? তা না করে মাটি খুঁড়ে ওই খোসা গুলো জমান। কিছু দিনের মধ্যে খোলা পচে সার তৈরি হবে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি খান নিশ্চয়ই। টি ব্যাগ ফেলে না দিয়ে সেটা কেটে ভিতরের চা পাতা বের করে গাছের টবে দিতে পারেন। সঙ্গে ইষদোষ্ণ জল ও ছড়িয়ে দেন। দ্রুত বাড়বে গাছ।
পেঁয়াজের খোসা: রান্নাঘরে সহজে পাওয়া যায় পেঁয়াজের খোসাও। তাতে থাকা সালফার এবং পটাসিয়াম ভাল কীটনাশকের কাজ করে।
চাল ধোয়া জল: চাল ৩-৪ বার ধোয়ার পর যে জল পড়ে থাকে, তাতে থাকে অনেকটা ‘স্টার্চ’ থাকে। থাকে খনিজও। যা গাছের জন্য ভাল।
অ্যাকোয়ারিয়ামের জল: বাগান বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, যা মাছের বর্জ্য থেকে জলে মেশে। এই তিনটি উপাদানই গাছের জন্য ভাল।