Goa Murder Case

১৫ মিনিট স্বামীর মুখোমুখি সূচনা, স্ত্রীর কাছে ছেলেকে খুনের কৈফিয়ত চাইলেন বাবা, চলল তুমুল ঝগড়া

সূচনা শেঠ এবং তাঁর স্বামী বেঙ্কট রমনকে মুখোমুখি বসিয়েছিল গোয়া পুলিশ। ১৫ মিনিট ধরে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। একে অপরকে দোষারোপ করেছেন বিচ্ছিন্ন এই দম্পতি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫০
Police put Suchana Seth and her husband face to face during interrogation

সূচনা শেঠ (বাঁ দিকে) এবং তাঁর স্বামী বেঙ্কট রমন। —ফাইল চিত্র।

গোয়া পুলিশের সামনে মুখোমুখি হলেন চার বছরের সন্তানকে খুনে অভিযুক্ত বেঙ্গালুরুর স্টার্ট আপ সিইও সূচনা শেঠ এবং তাঁর স্বামী বেঙ্কট রমন। একে অপরের সঙ্গে ১৫ মিনিট ধরে কথা বলেছেন তাঁরা। পুরো সময়টা জুড়েই চলেছে তুমুল ঝগড়া। বিভিন্ন ঘটনার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছেন সূচনা, বেঙ্কট।

Advertisement

ছেলেকে খুনের জন্য সূচনাকেই দায়ী করেছেন বেঙ্কট। কৈফিয়ত চেয়েছেন স্ত্রীর কাছে। সূচনা পাল্টা তাঁদের বিষাক্ত দাম্পত্যের জন্য দায়ী করেন বেঙ্কটকে। তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তোলেন। বেঙ্কট সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সন্তানের হত্যা নিয়ে সূচনা পুলিশকে যা বলেছিলেন, স্বামীর সামনেও সে কথাই বলেন। জানান, কী ভাবে তাঁদের চার বছরের সন্তান মারা গেল, তা তিনি জানেন না। ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই তিনি ঘুমিয়েছিলেন। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, ছেলে মারা গিয়েছে।

বেঙ্কটের দাবি, শিশুটি নিশ্চয়ই বাবার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তা সহ্য করতে না পেরে রাগের মাথায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন সূচনা। তাঁর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ছেলেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেননি সূচনা। আদালত ছেলেটিকে মায়ের সঙ্গে থাকার নিদান দিয়েছিল। বেঙ্কটকে ফোন বা ভিডিয়ো কলেও যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে প্রতি রবিবার করে ছেলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিলেন বেঙ্কট।

বেঙ্কট পুলিশকে জানান, গত ৭ জানুয়ারি সূচনা ছেলের সঙ্গে তাঁর দেখা করাবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই মতো জায়গাও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কেউ আসেননি। বেঙ্কট অপেক্ষা করে করে ফিরে গিয়েছিলেন। ছেলেকে কিছুতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিতে চাননি সূচনা।

গত সোমবার ছেলের দেহ সুটকেসে ভরে গোয়া থেকে বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছিলেন সূচনা। পথে ধরা পড়ে যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে বালিশ বা কাপড় দিয়ে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন