Maharashtra Crime

কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে ‘গণধর্ষণ’! মহারাষ্ট্রের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ৪, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

শনিবার বিকালে বছর পনেরোর এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলায়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৫৯

—প্রতীকী চিত্র।

১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে গণধর্ষণের অভিযোগ। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলায়। ওই ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওসমানাবাদ জেলার ওই নির্যাতিতা কিশোরীকে আগে থেকেই চিনতেন মূল অভিযুক্ত। শনিবার বিকালের ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শনিবার বিকালে স্থানীয় একটি মুদি দোকানে কেনাকাটি করতে গিয়েছিল কিশোরী। অভিযোগ, সেই সময়েই বছর পঁচিশের ওই পরিচিত যুবক তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। যুবকের বাড়িতে আগে থেকেই আরও চার জন উপস্থিত ছিলেন। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রথমে ওই পরিচিত যুবক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। তার পরে আরও দু’জন নির্যাতিতাকে যৌন নিগ্রহ করেন।

ঘটনার পর বাড়িতে ফিরে কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের গোটা বিষয়টি জানায়। এর পর শনিবার রাতেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয় পরিবারের তরফে। এফআইআর রুজু করে শনিবার রাত থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানেই রবিবার সকালে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই খুদে পড়ুয়াকে স্কুলের ভিতরেই যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে মহারাষ্ট্র। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে মুম্বই হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকা। এ সবের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের অপর এক প্রান্তে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement