Shanghai Cooperation Organisation

মোদীর সভাপতিত্বে চিন, পাকিস্তান যোগ দেবে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন শীর্ষবৈঠকে

এসসিওর সদস্য দেশগুলির পাশাপাশি ইরান, বেলারুশ এবং মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৩ ১৬:০৮
PM Narendra Modi to chair SCO summit virtually on 4 July 2023, China and Pakistan likely to attend

আগামী ৪ জুলাই শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন শীর্ষবৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মোদী। ফাইল চিত্র।

আগামী ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলন হবে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এসসিও-র ২২তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে চিন এবং পাকিস্তান।

সদস্য দেশগুলির পাশাপাশি ইরান, বেলারুশ এবং মঙ্গোলিয়াকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মোদীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে। এসসিও ঐতিহ্য অনুসরণ করে অতিথি দেশ তুর্কমেনিস্তানও ডাক পেয়েছে। প্রসঙ্গত, এসসিওর ৮টি সদস্যরাষ্ট্রে পৃথিবীর মোট ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার বাস। পৃথিবীর মোট ৩০ শতাংশ জিডিপি এই দেশগুলির নিয়ন্ত্রণে। গত বছরের ডিসেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদী।

Advertisement

নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ৩টি দেশ, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান এবং তাজিকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে চিন একটি নতুন জোট গড়েছিল। ওই দেশগুলির সঙ্গে চিনের প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, প্রাথমিক ভাবে চিনের লক্ষ্য ছিল মধ্য এশিয়ার ওই নতুন দেশগুলিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং ইসলামি কট্টরপন্থার প্রসার প্রতিরোধ। পরে নিজের শিনজিয়াং প্রদেশের আন্দোলন দমনে মুসলিম প্রধান ৩ দেশের আপত্তি এড়ানো এবং ওই অঞ্চলে মজুত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর দখলদারিও বেজিংয়ের ‘লক্ষ্য’ হয়ে দাঁড়ায়।

এই প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে শান্তি, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং ব্যবসাবাণিজ্য বাড়াতে চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান যৌথ ভাবে ‘সাংহাই ফাইভ’ গড়ে তোলে। ২০০১-এ উজবেকিস্তান এই জোটে যোগ দেয় এবং সংস্থাটির নাম বদলে হয় শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। ২০১৫-য় মূলত মস্কোর উদ্যোগে ভারত এই প্রভাবশালী আঞ্চলিক রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সদস্য হতে পারলেও, নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতে চিন একই সঙ্গে পাকিস্তানকে ওই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement