অভিযুক্ত সিআরপিএফ কর্তা খাজান সিংহ। —ফাইল চিত্র ।
যৌন হয়রানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে! সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআরপিএফের ডিআইজি পদমর্যাদার ওই কর্তার নাম খাজান সিংহ। তাঁর বিরুদ্ধে আধাসামরিক বাহিনীর মহিলাদের উপর হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে সিআরপিএফ। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে তাঁকে বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বরখাস্তের নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
সিআরপিএফের চিফ স্পোর্টস অফিসার খাজান ১৯৮৬ সালের সিউল এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় রুপোর পদক জিতেছিলেন। পরে তিনি অর্জুন পুরস্কারও পান। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ে কর্মরত। যদিও তাঁকে বরখাস্ত করার বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি খাজান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে খাজান জানিয়েছিলেন, সমস্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা’ এবং তাঁর ‘ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই’ এমন সব অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, খাজানের বিরুদ্ধে মোট দু’টি অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি মামলায় তাঁকে বরখাস্তের নোটিস পাঠানো হয়েছে। অন্যটির তদন্ত চলছে।
এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো বিষয়টি নিয়ে সিআরপিএফের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘সিআরপিএফ ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তদন্ত করেছিল। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং ইউপিএসসির কাছে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। এর পর ইউপিএসসি তাঁকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও ওই অফিসারকে বরখাস্ত করার জন্য নোটিস জারি করেছে।’’
উল্লেখ্য, দেশে আধাসামরিক বাহিনীর মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩.২৫ লক্ষ। যার মধ্যে ছ’টি মহিলা ব্যাটেলিয়ন রয়েছে। ১৯৮৬ সালে প্রথম মহিলাদের এই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।