Puri Jagannath temple

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের ভিতরে কি গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে? খুঁজতে লেজ়ার স্ক্যানিং

মন্দিরের রত্নভান্ডারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান হলে তা কী ভাবে এগোবে, তা স্থির করতে সোমবার বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুরীর মহারাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৩১
জগন্নাথ মন্দির থেকে বার করা হচ্ছে পুজোর সামগ্রী।

জগন্নাথ মন্দির থেকে বার করা হচ্ছে পুজোর সামগ্রী। —ফাইল চিত্র।

৪৬ বছর পর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের দরজা খুলেছে। এ বার সেই রত্নভান্ডারের ভিতর কোনও গোপন সু়ড়ঙ্গ বা কুঠুরি রয়েছে কি না, তা জানতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মন্দির পরিচালন কমিটি। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান কী ভাবে এগোবে, তা স্থির করতে সোমবার জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুরীর মহারাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব।

Advertisement

পরে মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি জানান, খনন করতে হবে না, এমন পদ্ধতিতে রত্নভান্ডারের গোপন সুড়ঙ্গ বা কুঠুরির খোঁজ করা হবে। এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর অনুমতি মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ শুরুর আগে মন্দির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আইআইটি এবং সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কথা বলা হবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রহস্যময় রত্নভান্ডারের ভিতরের চিত্রটি বুঝতে ‘লেজ়ার স্ক্যানিং’ করা হতে পারে।

রত্নভান্ডারের ভিতর এবং বাহির ভান্ডারের আলমারি এবং সিন্দুকগুলি সরানোর বিষয়েও সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে কী বিধি মেনে চলা হবে, তার একটি খসড়া তৈরি করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ওড়িশা সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দ্বাদশ শতকের জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার নিয়ে নানা রকম কাহিনি চালু আছে। কথিত আছে, ভান্ডারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জগন্নাথ মন্দিরের বিপুল রত্নরাজির প্রহরায় থাকে একাধিক সাপ! যদিও সেই সব দাবির সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। গত ১৪ জুলাই ‘পবিত্র মুহূর্তে’ রত্নভান্ডারটির দরজা খোলার পরে তার ভিতরে প্রবেশ করে ১১ সদস্যের একটি দল।

আরও পড়ুন
Advertisement