Manipur Violence

বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের গুলি, মণিপুরে হত এক, বিজেপির পর কংগ্রেসের দফতরেও অগ্নিসংযোগ

জিরিবাম থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজেপি এবং‌ কংগ্রেসের দু’টি দলীয় দফতরেও আগুন লাগিয়েছে উত্তেজিত জনতা। উন্মত্ত জনতা দুই দলের দফতরে ঢুকে চেয়ার-টেবিলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৫
অশান্ত মণিপুর। আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী ইম্ফলে।

অশান্ত মণিপুর। আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী ইম্ফলে। ছবি: পিটিআই।

কয়েক দিনের আপাত শান্তির পরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। উত্তেজনা, হিংসা এবং অশান্তির নতুন ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে গোষ্ঠীহিংসার প্রথম পর্বে মোটের উপরে শান্ত থাকা জিরিবাম জেলা। রবিবার সেই জেলার বাবুপাড়া এলাকায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর কুড়ির এক যুবকের।

Advertisement

জিরিবাম থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজেপি এবং‌ কংগ্রেসের দু’টি দলীয় দফতরেও আগুন লাগিয়েছে উত্তেজিত জনতা। উন্মত্ত জনতা দুই দলের দফতরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল এবং অন্য আসবাবে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগে রাজধানী ইম্ফলে বিজেপি দফতরে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল।

গত সোমবার জিরিবামে অসম সীমানা লাগোয়া অঞ্চল থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ছ’জনকে। অভিযোগের তির ছিল কুকি গোষ্ঠীর দিকে। দিনকয়েক পর নদীতে ছ’টি দেহ ভেসে আসে, যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। নদীতে দেহ মেলার পর থেকেই দিকে দিকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মেইতেই গোষ্ঠী। শনিবার রাতে রাজ্যের ছয় বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি, ইম্ফল পূর্ব জেলার লুয়াংশাংবামে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টাও হয়। তাদের নিরস্ত করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

রবিবারও জিরিবাম জেলার জিরি নদীতে দেহ ভাসতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে একটি ছিল এক ষাটোর্ধ্ব মহিলা এবং অপরটি বছর দুয়েকের এক শিশুর। তার দেহটি মুণ্ডহীন ছিল। রবিবারই মেইতেই গোষ্ঠী মণিপুর সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তদের ধরা না হয়, বিক্ষোভ আরও তীব্র হবে। রবিবার রাত থেকে জিরিবাম জেলায় একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকে। হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। তাঁরা সকলেই ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম এবং বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা। রাজধানী ইম্ফল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও।

কার্ফুর মধ্যেই রবিবার রাতে জিরিবামের অন্তত পাঁচটি গির্জা, স্কুল, পেট্রল পাম্প এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। কোথাও কোথাও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগও উঠেছে। কে বা কারা এই হামলা করেছে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement
আরও পড়ুন