COVID-19

আবার কোভিডে মৃত্যু কেরলে, বাড়ছে উদ্বেগ, সতর্কতা জারি করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর

ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কোভিড নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন স্থানীয় বিধায়ক কেপি মোহনন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫৭
image of covid death

কেরলে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। — ফাইল চিত্র।

আবার মাথাচাড়া দিল কোভিড! তাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। কেরলের ঘটনা। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কোভিডে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সতর্কও করেছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কেরলের কান্নুর জেলার পানুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতের নাম পালাক্কান্ডি আবদুল্লাহ। বয়স ৮২ বছর। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।

ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কোভিড নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন স্থানীয় বিধায়ক কেপি মোহনন। সম্প্রতি কেরলে আচমকাই বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। সরকারি হিসাব বলছে, নভেম্বরে কেরলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭০ জন। ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনে সে রাজ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২৫ জন।

রাজ্য হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার সাপি পি ওরাথেল জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের পরীক্ষা করে কোভিড ধরা পড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের এইচ১এন১ পরীক্ষা করে রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। তবে কোভিড ধরা পড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে কোভিডের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এখন আমরা লক্ষ্য করছি, কোভিডের থেকেও দূষণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এই উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে।’’ বিশেষজ্ঞেরা এ-ও জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও উপসর্গ গুরুতর নয়। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। তবে যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যাঁদের অন্য অসুখ রয়েছে (কোমর্বিডি), তাঁদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে।

ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ (আইএলএসএসিওজি) বলছে, কেরলে জেএন.১ প্রজাতির অস্তিত্ব মিলেছে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশেও মিলেছে এই প্রজাতি। করোনা ভাইরাসের বিএ.২.৮৬ ওমিক্রন প্রজাতির একটি উপপ্রজাতি। গত অগস্টে লাক্সেমবার্গে প্রথম এই উপজাতির দেখা মিলেছে। বিএ.২.৮৬ প্রজাতির অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়েছিল গত জুলাই মাসে ডেনমার্কে।

আরও পড়ুন
Advertisement