মাশরুমে রয়েছে একাধিক প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত।
এক দল মানুষ মাশরুমের নাম শুনলেই ‘ব্যাঙের ছাতা’ বলে লাফিয়ে ওঠেন। আবার, সুযোগ পেলে অন্য দলটি স্যালাড, স্যঁতে, ওমলেট থেকে সাধারণ তরকারি— পারলে সবেতেই মাশরুম গুঁজে দেন।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পুষ্টিগুণের দিক থেকে মাশরুম কিন্তু একাই একশো! মাশরুমে এমন সব উপাদান একত্রিত অবস্থায় রয়েছে, যেগুলি অন্যান্য উদ্ভিজ্জ খাবারের মধ্যে সহজে পাওয়া যায় না।
স্বাস্থ্যকর এমন কী কী উপাদান আছে মাশরুমে?
১) মাশরুমে থাকে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ‘ফ্রি র্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে এই উপাদানটি। ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ হৃদ্রোগ এবং ক্যানসারের মতো রোগের কারণ হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
২) মাশরুম কিন্তু ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস। তাই যাঁরা প্রাণিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য দারুণ একটি বিকল্প হতে পারে মাশরুম।
৩) বিটা গ্লুকান এক ধরনের ফাইবার, যা রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি, এই ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়তে দেয় না। আবার, এই বিটা-গ্লুকান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
৪) মাশরুমে রয়েছে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। নিয়াসিন পাচনতন্ত্র এবং ত্বক ভাল রাখে। প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড আবার স্নায়ুতন্ত্রের জন্য উপকারী, পাশাপাশি এটি শরীরকে নানা রকম হরমোন তৈরি করতেও সাহায্য করে।
৫) মাশরুম কিন্তু প্রিবায়োটিক-জাতীয় একটি খাবার। মাশরুমে ভাল মানের ব্যাক্টেরিয়াও থাকে। অন্ত্র ভাল রাখার জন্য যাবতীয় উপাদানও রয়েছে এই খাবারে। যা হজম সংক্রান্ত সমস্যা তো নিরাময় করেই, সেই সঙ্গে হরমোন ক্ষরণের সমতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে।