বাংলার দুই গোলদাতা রবি হাঁসদা (বাঁ দিকে) এবং মনোতোষ মাজি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ম্যাচে ঝাড়খন্ডকে চার গোল দিয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরপ্রদেশকে দিল সাত গোল। সন্তোষ ট্রফিতে গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে রবি হাঁসদা চার গোল এবং মনোতোষ মাজি তিন গোল করেছেন।
আট মিনিটে রবি প্রথম গোল করেন। এর পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে গোল করেছে বাংলা। ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন রবি। দ্বিতীয়ার্ধে ৪৮ এবং ৮৩ মিনিটে আরও দু’টি গোল করেন রবি। মনোতোষও পিছিয়ে ছিলেন না। তিনিও হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন দ্বিতীয়ার্ধে। গোটা ম্যাচে বাংলার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি উত্তরপ্রদেশ। দু’দলের তফাত স্পষ্ট ছিল শুরু থেকেই। বল যেমন বাংলার দখলে বেশি ছিল, তেমনই গোলের প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিল তারা। সেগুলি কাজে লাগাতে পারলে আরও অনেক গোলে জেতার কথা তাদের।
দু’ম্যাচে ছ’পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানেই রয়েছে বাংলা। এর পর রয়েছে বিহার এবং ঝাড়খন্ড। দুই দলেরই দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট রয়েছে। এ দিন ঝাড়খন্ড ৫-৩ গোলে বিহারকে হারিয়েছে। মূলপর্বে ওঠার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাংলা। ন’টি গ্রুপের শীর্ষস্থানাধিকারী দল মূলপর্বে খেলবে।
ম্যাচের পর বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, “আমাদের কাছে চার গোল খাওয়া ঝাড়খন্ড এ দিন সকালে পাঁচ গোল দিয়েছে বিহারকে। যে হোটেলে আছি সেখান থেকে ম্যাচটা দেখতে পেয়েছি। তখনই ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম গোল পার্থক্য বাড়াতে হবে। প্রথমার্ধে খেলা শেষ করে দিতে বলেছিলাম। তিন গোলে ব্যবধান যথেষ্ট ছিল। সেখানে পাঁচ গোল দিয়েছি।”