Karnataka Encounter

কর্নাটকে ‘এনকাউন্টার’! পুলিশের চালানো দু’রাউন্ড গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু নাবালিকা খুনে অভিযুক্তের

নাবালিকাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের মৃত্যু হল পুলিশের গুলিতে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে থামাতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না-হওয়ায় দু’রাউন্ড গুলি করা হয় অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২২:১০
কর্নাটকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু খুনের মামলায় অভিযুক্তের।

কর্নাটকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু খুনের মামলায় অভিযুক্তের। — প্রতীকী চিত্র।

কর্নাটকে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল নাবালিকাকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত এক মাঝবয়সি যুবকের। পাঁচ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে তিনি অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। পরে ওই নাবালিকাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য রবিবার কর্নাটকের হুবলি জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ওই সময় অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক অভিযুক্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ৩৫ বছর বয়সি অভিযুক্ত ওই যুবক বিহারের বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে গেলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। হুবলির পুলিশ কমিশনার শশী কুমার জানান, অভিযুক্তকে থামাতে প্রথমে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল। তার পরেও অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করায় তাঁকে লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, স্থানীয় থানার একটি দল অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলছিল। তিনি কোথায় থাকেন, তাঁর পরিচয় কী, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। তখনই অতর্কিতে পুলিশের উপর অভিযুক্ত চড়াও হন এবং পালানোর চেষ্টা করেন বলে দাবি পুলিশ কমিশনারের।

মৃত যুবক প্রথমে নাবালিকাকে অপহরণ করে একটি অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু চিৎকারে এলাকাবাসীরা চলে আসতে পারেন, সেই ভয়ে শ্বাসরোধ করে নাবালিকাকে খুন করে অভিযুক্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত গত দু-তিন মাস ধরে ওই এলাকায় থাকছিলেন। কখনও হোটেলে কখনও নির্মাণ ক্ষেত্রে কাজ করতেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন