ব্যাং রান্না করে খাওয়ার পর মৃত্যু শিশুর। প্রতীকী ছবি।
ঘরে ব্যাঙের উৎপাতে বিরক্ত হয়ে মেরেই ফেললেন না শুধু, সেই ব্যাং রান্নাও করে ফেললেন বাবা। নিজে খেলেন, খাওয়ালেন নিজের ছোট ছোট দুই মেয়েকেও। তার পরই এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জন হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে।
ঘটনাটি ওড়িশার কেওনঝড় জেলার জোডা ব্লক এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে ব্যাং ঢুকে পড়ে। যা দেখে রেগে যান বছর চল্লিশের গৃহকর্তা মুনা মুন্ডা। ব্যাংটিকে মেরে তা রান্না করে ফেলেন। রাতের খাবার হিসাবে নিজেও খান, মেয়েদেরও তা খাওয়ান। রাতেই মেয়েরা বমি করতে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তারা। শুক্রবার সকালে কেওনঝড় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মেয়েকে। কিন্তু তাঁর ৬ বছরের মেয়ে সুমিত্রা চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৪ বছরের মেয়ে মুনির। তারও অবস্থা ভাল নয়। মুনা নিজে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন।
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
ওড়িশার সম্বলপুরের ভিএসএস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক সঞ্জীব মিশ্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্যাঙের প্যারোটিড গ্রন্থিতে বিষ থাকে। কেউ তা খেয়ে নিলে বিষের প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া কোনও কোনও ব্যাঙের চামড়ায় নির্দিষ্ট কিছু বিষ থাকে। কেওনঝড়ের শিশুকন্যাদের ক্ষেত্রেও সেই ধরনের কোনও বিষই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।