কাজে যাওয়ার পথে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের জালাউনে এক নার্সকে গণধর্ষণের অভিযোগ। নির্যাতিতার স্বামীর দাবি, তাঁর স্ত্রীর যৌনাঙ্গে লাঠি, লঙ্কার গুঁড়ো প্রবেশ করানো হয়েছে। সে সময় চার জন তাঁকে চেপে ধরেছিলেন। যদিও পুলিশের দাবি, গ্রামেরই এক জনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নার্সের। ওই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার মারধর করেছেন নির্যাতিতাকে। তবে নির্যাতিতা গুরুতর কিছু অভিযোগ করেছেন, যার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছেন, চারখি থানার অন্তর্গত এলাকায় নার্সিং কর্মী হিসাবে কাজ করেন তরুণী। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ স্কুটারে চেপে কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে কয়েক জন তাঁর উপর চড়াও হন। তার পরে তাঁকে ঝোপে টেনে নিয়ে যান। ওই তরুণের কথায়, ‘‘আমার স্ত্রী কাজে যাচ্ছিলেন। তখনই এই কাণ্ড হয়েছে। তিনি ফোন করে বিষয়টি আমাকে বলেন। এক ব্যক্তি, তাঁর ভাগ্নে এবং কয়েক জন আত্মীয় মারধর করেছেন ওঁকে। চার জন ওঁকে চেপে ধরে রেখেছিলেন, দু’জন গণধর্ষণ করেছেন।’’ নির্যাতিতার স্বামীর আরও অভিযোগ, তরুণীর যৌনাঙ্গে লাঠি, লঙ্কার গুঁড়ো প্রবেশ করানো হয়েছে। তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
জালাউন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার প্রদীপকুমার বর্মা জানিয়েছেন, এক মহিলাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রামেরই এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মহিলার। ওই ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার মারধর করেছেন মহিলাকে। পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। ওই মহিলা কিছু গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। আমরা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছি।’’