Bangladesh Deputy High Commission

কলকাতায় সনাতনী-মিছিলে উত্তেজনা, মাথা ফাটল পুলিশের, ৫ জনকে বাংলাদেশ উপদূতাবাসে প্রবেশে অনুমতি

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস অভিযানের ডাক দেয় সনাতনীদের একটি মঞ্চ। পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কপালে চোট পান এক পুলিশকর্মীও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৩
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার রাস্তায় সনাতনীদের মিছিল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার রাস্তায় সনাতনীদের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস অভিযানের ডাক দেয়। ওই কর্মসূচি ঘিরে শুরু থেকেই সতর্ক ছিল কলকাতা পুলিশ। মিছিল এগোনোর চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। বেকবাগানের কাছে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সেই ধস্তাধস্তির সময় মাথা ফাটে এক পুলিশকর্মীর। কপালে চোট পান তিনি।

Advertisement

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির অভিযোগের মাঝে সে দেশে বেশ কিছু ধর্মীয় সংগঠন মিলে সনাতনী জাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলে। সেই মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর ডাকে ঢাকার শহিদ মিনার চত্বর, চট্টগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ সমবেত হন। এই আবহে চিন্ময়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময়। পরে ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে সে দেশের হাই কোর্টে মামলাও করে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ হাই কোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধস্তাধস্তি শুরু করলে আহত হন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী।

বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধস্তাধস্তি শুরু করলে আহত হন কলকাতা পুলিশের এক কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার কলকাতায় মিছিল ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ একাধিক ব্যারিকেড প্রস্তুত রাখে। তবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পর পর ব্যারিকেড ভাঙতে ভাঙতে এগোতে শুরু করেন। শেষে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ উপদূতাবাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। বাংলাদেশ উপদূতাবাস থেকে বেরিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানান, তাঁরা চিন্ময়ের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মমতা জানান, কলকাতায় ইসকনের সঙ্গে তিনি দু’বার কথা বলেছেন। তবে এটি দু’টি দেশের বিষয়। সে ক্ষেত্রে দেশের সরকার (কেন্দ্র) যা সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবেন।

আরও পড়ুন
Advertisement